স্টাফ রিপোর্টার ॥ খোয়াই নদীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জেলার নিচু এলাকা গুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে খোয়াই নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোয়াই নদীর পাড় ঘেঁষে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি, বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে যে কোনো জায়গা দিয়ে। গত তিনদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য উঁচু পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টি কারণে খোয়াই নদীর পানি হঠাৎ করে বেড়ে যায়। যদিও এখনো পানি বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা যায়। এদিকে টানা বৃষ্টি কারণে নদীর বাঁধে কাঁচা অংশে ধস দেখা দিয়েছে। আবার কোনো জায়গা পুরাতন অংশে দুর্বলতা আছে। বিশেষ করে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পৈইল ইউনিয়নে পূর্ব ভাদৈ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধের কিছু অংশ ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে এলাকাবাসী মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনা দেখে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কলিমনগর, আলাপুর, পূর্ব লেঞ্জাপাড়া,পুরান বাজার, চুনারুঘাট উপজেলার করিমপুর, চান ভাঙাসহ বিভিন্ন এলাকায় খোয়াই নদীর ঘেঁষে উভয় বাঁধের বাড়ি ঘরের লোকজন বাঁধ পাহাড়া দিচেছন। বাঁধ ভেঙে গেলে বৃহৎ এলাকা প্লাবিত হয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়বে লক্ষ লক্ষ মানুষ। খোয়াই নদীর বাঁধ ভাঙলে উপজেলার সরকারি বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাড়া-মহল্লার ঘর- বাড়ি, হাটবাজার, দোকানপাঠসহ অনেক কিছু মারাত্মক তি সাধন হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজর রাখছেন। একই সঙ্গে প্রতিটি এলাকায় উভয় নদীর বাঁধে স্বেচ্ছাশ্রমে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে এলাকার তরুণরা। এ বিষয়ে পাউবোর প্রকৌশলী জানান, বাঁধটি মেরামতের জন্য বড়ো আকারের একটি নৌকার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু নদীতে পানি না থাকায় এখনও নৌকা পৌঁছায়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে, শনিবার অথবা রোববার সকালের মধ্যে ভৈরব থেকে নৌকা এসে পৌঁছাবে এবং দ্রুত মেরামত কাজ শুরু হবে। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
Leave a Reply