বিনোদন ডেস্ক: বাংলা সিনেমার ‘স্টাইল আইকন’ খ্যাত এক সময়কার তুমুল জনপ্রিয় প্রয়াত নায়ক সালমান শাহের অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আবারও আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহনগর হাকিম বাকী বিল্লাজ এ প্রতিবেদনের দিন ধার্য্য করেন। গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল সালমান শাহ অপমৃত্যু মামলার প্রতিবেদনের দাখিলের দিন। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত তারিখ পরিবর্তন করে পরবর্তী ঐ দিন ধার্য্য করেন।
মামলার নথি ঘেটে জানান যায়, বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় নিজ বাসায় আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৬ সালে ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে চৌধুরী শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহের লাশ উদ্ধার করা হয়। সেময় তাঁর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন। এরপর ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানের বাবা তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে একটি অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগটি একসঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন। এরপর ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করেন সিআইডি। একই বছর ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএম আদালত সিআইডির দাখিল করা চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
সিআই দাখিল করা প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন করেন সালমান শাহের বাবা কমর উদ্দিন। রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটিকে আবারও বিচার ভিবাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এরপর এক যুগ ধরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।
সর্বশেষ ৩ আগস্ট ২০১৪ সালে সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএম আদালতে নারাজি দাখিল করেন। এর শুনানি শেষে মামলাটি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। পরে ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রিভিশন মঞ্জুর করেন।
Leave a Reply