হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ লাখাই উপজেলার পূর্ব রুহিতনসীপুর গ্রামে কলেজ ছাত্রী আমিনা চৌধুরী মিতুর আত্মহ্যতায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মিতুর প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে নিহত মিতুর পিতা আজিুল হক চৌধুরী বাদি হয়ে লাখাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মিতুর প্রেমিক মামুন হাসান (২০) ও তার পিতা হারুনুর রশীদকে (৪৫) আসামীকরা হয়েছে। এছাড়া আরও দুইজনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, আমিনা চৌধুরী মিতু লাখাই মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী ছিল। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি মামুন হাসানও একই কলেজের শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন ধরে দু’জনে একই কলেজে লেখাপড়া করার সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুবাধে মামুন হাসান মিতুর বিভিন্ন ছবি গোপনে তার মোবাইলে ধারণ করে রাখে। এক পর্যায়ে মামুন হাসান ওই ছবিগুলোকে পূজি করে মিতুকে তার সাথে বিভিন্ন স্থানে দেখা করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মিতু বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে ১৪ ফেব্র“য়ারি বিষয়টি নিয়ে মিতুর পরিবারের লোকজন মামুন হাসানের পরিবারের কাছে যায়। এ সময় মামুন হাসানের পরিবারের লোকজন মিতুর আত্মীয়স্বজনদের সাথে অশালিন আচরণ করে এবং বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়। তারা চলে আসলে ওই দিনই মিতু মোবাইল ফোনে মামুন হাসানকে বিয়ের জন্য বলে। এ সময় মামুন বিষয়টি এড়িয়ে যায় এবং মিতুর সাথে অশালিন আচরণ করে। এতে রাগে, অভিমানে ও অপমানে নিরূপায় হয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে মিতুর ঘরে গিয়ে তার লাশ ঝুঁলতে দেখে চিৎকার শুরু করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় পুলিশ মিতুর রুম থেকে একটি মোবাইল ফোন ও ডায়রি উদ্ধার করে। যেখানে অনেক কিছু শেষে লিখা ছিল ‘মামুন আমি তুমাকে অনেক লাভ করি’। আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র তুমিই দায়ি।
Leave a Reply