হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জ শহরের ধুলিয়াখাল এলাকায় নির্মানাধীন বিজিবি ক্যাম্পে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও গ্রামবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে মাইকিং করে বিজিবি সদস্যদের উপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছে এলাকাবাসি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পুর্ব মুহুর্তে ধুলিয়াখাল এলাকায় নির্মানাধীন বিজিবি ক্যাম্পের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বরত সৈনিক আনোয়ার হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন যাবত তাদের নির্মানাধীন ক্যাম্পে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মাটি ভরাটের কাজ চলছে। সরকারী বিধি অনুযায়ী ওই ক্যাম্পের কাজ পায় ঢাকার ইসলাম ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু সাব-ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে আসছে। শুক্রবার বিকেলে বিজিবি ক্যাম্পে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের কাজ করার সময় এক পর্যায়ে এলাকার স্থানীয় বাসন্দিা জাহাঙ্গীর, ইউনুছ মিয়া ও কাইয়ুম মিয়াসহ বেশ কিছু লোকজন তাদেরকে মাটি ভরাট করতে বাধা দেয় এবং তারা নিজেরা ওই স্থানে মাটি ফেলা শুরু করে। পরে বিষয়টি ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানটি বিজিবি সদস্যদের জানালে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনদেরকে বাধা দেয়। আর এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর, ইউনুছ মিয়া ও কাইয়ুম মিয়াসহ তাদের লোকজন বিজিবি সদস্যরা তাদের উপর আক্রমন করেছে বলে গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে। মাইকিং শুনে মুহুর্তের মধ্যে সেখানে শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। পরে বিজিবি সদস্যরাও অবস্থান নিলে খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে ইউনুছ মিয়া জানান, তারা ঢাকার ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে সাব-ঠিকাদার হিসেবে গ্রামের কিছু লোকদেরকে নিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করে আসছিলেন। সম্প্রতি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি তাদের বাদ দিয়ে অন্য ঠিকাদারদের নিয়ে কাজ করছে। তাই তারা তাদেরকে বাধা দিয়েছে। এছাড়াও তারা এলাকাবাসি হিসেবে তাদের কাজটি করতে চাইছেন বলেও জানান তিনি।
ইসলাম ট্রেডার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আরিফ জানান, অন্যায় ভাবে তাদের কাজে বাধা দিয়েছে এলাকার কিছু লোকজন। তারা সরকারী নিয়মনীতি মেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান জানান, মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে বিজিবি ও গ্রামবাসির কিছু লোকজনদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে
Leave a Reply