স্টাফ রিপোর্টারঃ চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের খেতামারা গুচ্ছ গ্রামে আকলিমা আক্তার (৩৫) নামের ৭ সন্তানের জননী নারী খুনের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক সাবেক স্বামী সুজন মিয়া। এ ঘটনায় নিহত আকলিমার ভাই মোঃ রফিক মিয়া বাদি হয়ে সুজনকে আসামি করে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল রবিবার বিকালে সুজনকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল-২ আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুল আলীমের আদালতে প্রেরণ করা হলে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। পুলিশ জানায়, ৭ সন্তান রেখে অন্যত্র বিয়ে করায় ক্ষোভে আকলিমাকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার ঘটনায় তার কোনো আফসোস নাই বলে সে দোষ স্বীকার করে। গত ২৬ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় রাস্তায় আকলিমা ও সুজনের দেখা হলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সুজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে নেয়ার পথে রাস্তায় আকলিমা মারা যায়। এদিকে স্বামীকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়। তার ৭ মাসের শিশুসহ ৭টি সন্তান অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। তাদের মা নেই পৃথিবীতে, বাবাও জেলে। তাদের দায় দায়িত্ব কে নেবে ? এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তারা অভাব অনটনের মধ্যে সংসার চলতো। তাছাড়া সুজনও ছিল মাদকাসক্ত। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আকলিমাকে মারধোর করে আকলিমা অতিষ্ঠ হয়ে সুজনকে তালাক দেয়। আর এতেই সে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। গতকাল রবিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান, একমাত্র আসামি দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অচিরেই আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।
Leave a Reply