স্টাপ রিপোর্টারঃ চুনারুঘাট উপজেলা গাজীপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কেদারাকোটে বহু প্রত্যাশিত ২৩তম বাল্লা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় তিনি বাল্লা ২৩তম স্থলবন্দরে এসে উপস্থিত হন। তিনি স্থলবন্দরে সকল কার্যক্রম পরির্দশন শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনায় বসেন এবং
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজ সমাপ্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোনেক্র ইন্টারন্যাশনাল-এর স্বত্ত¡াধিকারী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আগামী ৩ মাসের মধ্যে সকল কর্যক্রম শেষ হবে বলে জানান। বাংলাদেশ স্থলবন্দরের কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বাল্লা ২৩ তম স্থলবন্দর হবে ভারত বাংলাদেশের ব্যবসার কেন্দস্থল, এতে বাংলাদেশ ভারতের বানিজ্য জোরদার হবে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আরো একটি বড় সফলতা অর্জন করবে।
২০২৩ সালের মধ্যেই চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরের আধুনিকায়নের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করা হবে বলেও জানান তিনি। এ সময় উপ¯ি’ত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব, স্থলবন্দর কর্ত”পরে সদস্য মোস্তফা কামাল মজুমদার (যুগ্ম-সচিব), স্থলবন্দরের যুগ্ম-সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদার্থ ভৌমিক। বাল্লা স্থলবন্দর আধুনিক প্রকল্পের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রæত গতিতে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। একই সঙ্গে শেড, ব্যারাক, ইমিগ্রেশন, আবাসিক এলাকা এবং ইয়ার্ড এর কাজ প্রায় শেষ দিকে। ৩০ জুন মেয়াদ হলেও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। তারপর সেখানে কার্যক্রম শুরু করা যাবে’। বাল্লা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সদস্য জালাল উদ্দিন খান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা অধির আগ্রহে অপো করছেন বন্দরের কাজ চালু হওয়ার। বর্তমান যে স্থান দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে ব্যয় বেশী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারছেন না। তারপরও নদীতে নৌকা দিয়ে মালামাল আনা নেয়া হচ্ছে। বন্দরটি চালু হলে শুধু পণ্য আনা নেয়ার কাজই হবে না। এই বন্দর দিয়ে প্রচুর লোকজন আসা যাওয়া করবেন। ফলে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবেন।
Leave a Reply