অনলাইন ডেস্কঃআপনি কি আপনার শরীর টক্সিনমুক্ত করতে চান? তা হলে দিনের শুরু করুন ন্যাচেরাল ডিটক্স দিয়ে। এর মাধ্যমে আপনার শরীরের সমস্ত বিষাক্ত উপাদান মুছে গিয়ে আপনি থাকবেন এনার্জিতে পূর্ণ, ইমিউনিটি বজায় থাকবে এবং সুস্বাস্থের অধিকারী হবেন। এর মাধ্যমে বেশ খানিকটা ওজন ঝরানোও সম্ভব। এর জন প্রয়োজন শুধু সকালের অভ্যাসটা খানিক পরিবর্তন করা।
হেল্থ এক্সপার্ট লিউক কুটিনহো নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সম্প্রতি এমনই বেশ কিছু ন্যাচেরাল টনিকের খোঁজ দিয়েছেন যেগুলি বাড়িতে বানানো সম্ভব। এগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে আপনার লিভার এবং রক্ত টক্সিন মুক্ত থাকবে।
এই ন্যাচারাল টনিক বানাতে আপনার প্রয়োজন দারুচিনি, জয়ফল, আদা, হলুদ, লেবু, শুকনো মরিচ ও গোলমরিচ।
আদাকে বলা হয় সুপার ফুড। কারণ এর মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে। হজমের সমস্যা হোক বা কেমোথেরাপি, ডায়াবেটিস হোক বা ওজন কমানোর পদ্ধতি, সবকিছুতেই আদা গুরুত্বপূর্ণ। গাটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে আদা। সাইনাস, ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লুয়ের সমস্যায় আদা ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
দারুচিনি অন্যতম স্বাস্থ্য-বন্ধু মশলা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, হাইপারটেনশনের মোকাবেলা করে এবং হার্টের রোগের সম্ভাবনা কমায়। গোটা শরীরের পক্ষেই খুব উপকারী দারুচিনি।
হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বহু বছর ধরে এটি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। লিভারের কোষগুলো উজ্জীবিত হয়। হলুদ লিভারকে ঠাণ্ডা করে যে কোনও ইনফ্লামেশন কমাতেও সাহায্য করে।
শুকনো মরিচ এবং গোলমরিচ শরীরের বিষাক্ত উপাদান বার করে দেওয়ার জন্য খুবই কার্যকর। ওজন হ্রাসের জন্যও এটি খুবই উপকারী কারণ এতে হজমশক্তি ভালো হয় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়।
কী ভাবে বানাবেন:
লেবু বাদে উপরে উল্লেখিত সমস্ত উপাদান পানির মধ্যে দিয়ে ভাল করে ফোটান। যে পরিমাণ পানি নেবেন তাকে ফুটিয়ে অর্ধেক করতে হবে। শেষে উপর থেকে সামান্য লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে দিনে দুবার খান এই মিশ্রণ।
Leave a Reply