শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শায়েস্তাগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেফতার প্রচারণা সভায় সিভিল সার্জন নুরুল হক ॥ হবিগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৬ কিশোরীকে দেয়া হবে এইচপিভি টিকা ॥ টিকা পাবেন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীরা হবিগঞ্জে দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজির দাম হবিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এনামুল হক সেলিম ॥ হবিগঞ্জ জেলায় কোন সংখ্যা লঘু বা সংখ্যাগুরু নাই, সকলেই আমরা বাংলাদেশী হবিগঞ্জের ৬৪৩ মণ্ডপে দূর্গোৎসব শুরু মাধবপুরে কাভার্ড ভ্যান থেকে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে হকৃবি’র বাজেট ঘোষণা ॥ স্বচ্ছতা ও বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সবার সহযোগিতা চাইলেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ চুনারুঘাটে ২৯ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক হবিগঞ্জে আদি গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গৃহবধূ হত্যার  ঘটনায় মামলা : স্বামীর স্বীকারোক্তি

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৫৪ বার পঠিত

নিজস্ব সংবাদদাতা :  হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে স্ত্রী আছমা হত্যার  ঘটনায় আটক স্বামী আলমগীর মিয়া (২৬) শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঝুমার সরকারের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে। আলমগীর স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, দাম্পত্য কলহ ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। মাধবপুর বাজারে কেনাকাটা, চা বাগান, পাহাড় দেখা ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়ানোর কথা বলে স্বামী-স্ত্রী মিলে একটি সিএনজি অটোরিকশা ১৫ শ টাকায় ভাড়া নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। মাধবপুর বাজারে সামান্য ঘোরাফেরা করে রাস্তার দুপাশে চা বাগান দেখে সকাল ১০টার দিকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পৌঁছে। চালককে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে স্বামী-স্ত্রী মিলে সাতছড়ির দক্ষিণের গহীন জঙ্গলে ঢুকে যায়।

২ ঘণ্টা পর আলমগীর আছমাকে জঙ্গলে রেখে একা ফিরে আসে। এ সময় তার চোখেমুখে বিষণ্নতার ছাপ দেখে অটোরিকশাচালক জানতে চায়, ‘আপনার সঙ্গী কোথায়?’ জবাবে আলমগীর বলে, ওই নারী খারাপ চরিত্রের। তাকে জঙ্গলে রেখে চলে এসেছি। সে অন্য পুরুষের সঙ্গে খারাপ কাজে লিপ্ত রয়েছে।

আছমার পিতা জানান, আলমগীরের সঙ্গে আছমার বিয়ে হয় ৩ বছর আগে। বিয়ের পর আছমার শ্বশুর নূর ইসলাম আছমার সোনার গয়না বিক্রি করে দেয়। সেগুলো ফেরত চাইতে গেলে বহুবার শ্বশুর ও স্বামীর সঙ্গে আছমার ঝগড়া হয়। এ কারণে আছমাকে স্বামী আলমগীর জঙ্গলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেছে।

স্ত্রীকে হত্যা করে বিকেলে বাড়ি ফিরলে আলমগীরের কাছে আছমার পরিবারের লোকজন তার সন্ধান জানতে চাইলে সে অসংলগ্ন জবাব দেয়। পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে বুধবার রাতে আলমগীরকে নাসিরনগর থানায় পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশের কাছে স্ত্রী হত্যার বর্ণনা দিলে পুলিশ ও আছমার আত্মীয়-স্বজন পর্যটন বিভাগের লোকজন নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ ঘণ্টা তাল্লাশি চালিয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ  একটি টিলার ওপর থেকে আছমার মরদেহ উদ্ধার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন ঘোষ জানান, নিহত আছমা বেগম গর্ভবতী ছিলেন। আছমাকে গলায় গেঞ্জি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া তার মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com