বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত সুতাং নদী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২০৪ বার পঠিত

শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত সুতাং নদী। নদী দখল করে গড়ে উঠেছে বাড়িঘর, কোথাও আবার ময়লা-আবর্জনায় নষ্ট হয়ে গেছে পানি। খনন না করায় নাব্যতা হারিয়ে নদীটি এখন মৃতপ্রায়। ফলে এ নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কৃষিজমি হুমকিতে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, একসময় বর্ষায় এ নদী দিয়ে নৌকা চলাচল করত। অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহ হতো এ নদী দিয়ে। আশপাশের কৃষকেরা নদীর পানি সেচের কাজে ব্যবহার করতেন। জেলেদের জালে ধরা পড়ত মাছ। বর্তমানে নদীটি দূষিত হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী খনন না করায় উজানের পলি জমে নাব্য হারিয়েছে। অনেকে আবার নদী ভরাট করে আশপাশের স্থান দখল করে ফেলেছে। স্থানীয় লোকজন আরও জানান, দূষণের ফলে নদীর পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এমন অবস্থায় নদীর আশপাশের বাসিন্দাদের নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। নদীর পানি কৃষিকাজে ব্যবহার তো সম্ভবই নয় বরং মারাত্মক রোগবালাই ছড়াচ্ছে। তাঁদের দাবি, নদীর পাড় দখলমুক্ত এবং খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনার। নদী ও আশপাশের এলাকার আবর্জনা পরিষ্কার করার দাবিও জানান তাঁরা। সুতাং নদীর পাড়ে বসবাসকারীরা বলেন, ‘এই নদী আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিন বছর যাবৎ নদীটি শীতের মৌসুমে শুকিয়ে যায়। এ সময় চাষাবাদ ব্যাহত হয়। বিশেষ করে সবজি চাষসহ বোরো আবাদে দেখা দেয় সেচ সংকট।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি নদীটি খনন করার জন্য। এরই মধ্যে পদক্ষেপও নিয়েছি। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘নদীটির সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে আছে। এরই মধ্যে জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখান থেকে পরামর্শ পেলে দ্রুতই নদী খননের বিষয়টি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জানাব। পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com