নুর উদ্দিন সুমন : প্রেম করে বিয়ের ৭ বছরের মাথায় স্ত্রী সুহেলা আক্তার সুমী(২৫) কে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করল পাষণ্ড স্বামী আলাউদ্দিন (৩০) । এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী আলাউদ্দিনকে আটক করেছে। আলাউদ্দিন উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে। (২০ জুলাই) মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবন চন্দ্র বর্মণের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে আলাউদ্দিন। আসামীর বরাত দিয়ে চুনারুঘাট থানার ইন্সপেক্টর( তদন্ত) চম্পক দাম জানান, ভালবেসে বিয়ে তাদের। আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী হবিগঞ্জের ওলিপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কাজ করতেন। ঈদ উপলক্ষে দুইজনই বোনাস পেয়েছেন এবং আলাউদ্দিন টাকাগুলো খরচ করে ফেলছেন। ইদানিং সংসারের প্রতি কিছুটা অনাসক্ত আলাউদ্দিন। সামনে ঈদ, ঘরে বাজার সদাই কিছুই নেই। এনিয়ে সোমবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাতে খাবার খেতে খেতে স্ত্রী সুহেলা আক্তার সুমি কোম্পানির ঈদ বোনাসের ৩ হাজার টাকার হিসেব চাইলেন স্বামীর কাছে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় । একপর্যায়ে স্বামী আলাউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীর গলায় থাকা ওড়না প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করেই হত্যা করে। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন তার শশুরকে ফোন করে জানায় সুহেলা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু সকাল বেলা নিহতর চাচা ফারুক, ছোট ভাই কাউছার বাড়িতে এসে সুহেলার নাকে চোখে রক্তক্ষরণ দেখে তাদের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেন । খবর পেয়ে ঘটনারস্থলে ছুটেযান মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, মহসিন আল মুরাদ, চুনারুঘাট থানার ওসি মো: আলী আশরাফ, ইনস্পেক্টর তদন্ত চম্পক দাম ও এসআই হিমনসহ একদল পুলিশ। তারা স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেন এবং স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেন। এ সময় সুহেলার স্বামী, শশুর ও ভাসুরকে পৃথক পৃথক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় ঘন্টা দুয়েকের জিজ্ঞেসাবাদেই বেরিয়ে আসে মুল ঘটনা। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
Leave a Reply