নুর উদ্দিন সুমন : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর এর পুত্রবধূ ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জিল্লুর কাদির লস্কর রিমন এর সহধর্মিণী সৈয়দা নাজনীন আহমেদ সিলভী ভলান্টিয়ার লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে (ইনডিভিজ্যুয়াল সেকশন) বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। বিশ্বের ২৯টি দেশের মধ্যে বাছাইকৃত ১৫ জনের মাঝে সিলেট বিভাগের এই প্রথম সংগ্রামী নারী সৈয়দা নাজনীন আহমেদ সিলভী আন্তর্জাতিক মানের অ্যাওয়ার্ড ২০২১ লাভ করেন । সম্প্রতি বিশ্বের ২৯ দেশের ১০০৮ জন আবেদন করেন। এর মধ্য থেকে ৩ ধাপে বাছাই কার্যক্রম হয়। এরপর সাত ক্যাটাগরিতে গ্রুপ ও ইনডিভিজ্যুয়াল সেকশনে সাত সামাজিক সংস্থা ও ৮ ব্যক্তিকে চুড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের গত ২৪ জুন রাজধানীর তেজগাঁও স্কাই ভিউ রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ডিজিটাল সামাজিক উদ্ভাবনের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন (বিডিএসআই) অ্যাওয়ার্ড-২০২১ এর চুড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্য ৭ টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সিলভী বিগত ৮ বছর ধরে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে সামাজিক কর্মী হিসাবে কাজ করছেন। তিনি মহিলা ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসডিজি বাস্তবায়নে তাঁর সামাজিক কাজ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, স্কুলগামী মেয়েদের স্ব-প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের গুড টাচ ব্যাড টাচ ক্যাম্পেইন এবং বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে ইংরেজি ক্লাস সরবরাহ শুরু করেছেন। তিনি অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওর সাথে কাজ করছেন এবং শিগগিরই তিনি নিজস্ব সামাজিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি তার সংসার ও পড়ালেখার পাশাপাশি তার সামাজিক কার্যকলাপের জন্য অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছেন। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্যানবেরার রাজধানীর ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশনস আয়োজিত বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষে ক্যানবেরার তরুণ পেশাদার আইন, পরামর্শদাতাদের একচ্ছত্র দল বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনবিদ হিসাবে তাদের অভিজ্ঞতা বিষয়ক এক সেমিনারে অংশ গ্রহন করেন সিলভী। বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ নিয়ে প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। এই বছরের ইভেন্টের চূড়ান্ত বিজয়ীরা বৃত্তি, ফেলোশিপ এবং স্পনসরশিপের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ব্যয়ে উন্নত বিশ্বে পাড়ি জমানোর সুযোগ পাবে। বিডিএসআই পুরষ্কার ২০২১ একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্ট প্রতিযোগিতায় যারা অংশ নিয়েছেন তারা সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কারে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অ্যাওয়ার্ড পেয়ে সৈয়দা নাজনী আহমেদ সিলভী সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এ অর্জন আমার একার নয় সেটি গোটা সিলেট বাসীর। তাই সিলেট বিভাগের প্রতি আমার দায়িত্ব বেড়ে গেল। ইতিমধ্যে আমার নিজস্ব উদ্যোগে সামাজিক সংগঠন গঠনের কাজ চলছে। এ সংগঠনটি তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাবঞ্চিত শিশু, নারী শিশুর অধিকার আদায়ে কাজ করবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করছেন।
বিডিএসআইএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জানান, আমাদের আয়োজনের মূল বিষয় থাকে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরা ও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা, যার মাধ্যমে যুব সমাজ যেন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়। এ বছর আমরা করোনা পরিস্থিতে যেসব কার্যক্রম ব্যক্তিগত বা গ্রুপের মাধ্যমে এগিয়ে ছিল তাদের পুরস্কৃত করেছি। তিনি আরও জানান, বিডিএসআইএফ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার অংশীদারি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। সৈয়দা নাজনীন আহমেদ সিলভী মৌলভীবাজার জেলা সদরের বাসীন্দা । তিনি বর্তমানে সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ অধ্যায়নরত।
Leave a Reply