সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
হবিগঞ্জে আদি গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বাল্লা সীমান্তে আটক ৩ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভায় জি কে গউছ ॥ পূজায় মন্দির পাহারা দিবে বিএনপি ও অঙ্গন সংগঠনের নেতাকর্মীরা হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি সৈয়দ সায়েম শায়েস্তাগঞ্জে লাফ দিয়ে নামতে গিয়ে ট্রেনের নীচে পরে যুবক দ্বি-খন্ডিত শহরে রিপন শীল হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র সেলিম শ্যোন এরেস্ট মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ দুই নারী আটক বানিয়াচঙ্গের সিএনজি চালক মাসুকের লাশ বাহুবলে উদ্ধার বাহুবলে পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ী ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ॥ অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ডিআইজি আতিকা ও চালক আরও এক মামলায় গ্রেফতার সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

হাতের মুঠোয় ভূমি সেবা: চুনারুঘাটে শুরু হলো অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১
  • ২৩৮ বার পঠিত

নুর উদ্দিন সুমন : জমির মালিকদের হয়রানি ও ভূমি সেবা সহজীকরণে সব কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে । এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের নিমিত্ত অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ফলে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে জমির মালিক ভূমির খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) পরিশোধ করতে পারবেন। এ জন্য ১০টি মডিউলসমৃদ্ধ ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (এলআইএমএস) নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের আওতায় অন্য মডিউলগুলো হচ্ছে- ভূমি নামজারি ব্যবস্থাপনা, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা, ভূমি নামজারি পর্যালোচনা ব্যবস্থাপনা, ভূমি মিস কেস ব্যবস্থাপনা, বাজেট ব্যবস্থাপনা, খাজনা সনদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অন্যতম। অনলাইনে ভূমি কর প্রদান করতে হলে ভূমির মালিককে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। ভূমির মালিকগণ তাদের খতিয়ান নিবন্ধনটি সহজেই আউটসোর্সিং টিমের মাধ্যমে করে নিতে পারবেন । একবার নিবন্ধিত হলে ওই ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে পুনরায় আর নিবন্ধন করার দরকার হবে না। নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাগন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বসে এলডি ট্যাক্স সিস্টেমে অন্যান্য ডাটা অনলাইনে এন্ট্রি করবেন। চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল জানান, প্রত্যেক নাগরিক তার ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ থেকে শুরু করে ভূমি ব্যবস্থাপনার সব কাজ ঘরে বসেই নিজেই নিশ্চিন্ত মনে করতে পারবেন, ভূমি মালিকগণ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে না গিয়ে অর্থাৎ ঘরে বসে কিংবা প্রবাসীরা সেখান থেকেই ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ করে দাখিলা সংগ্রহ করতে পারবেন। এ লক্ষ্যে উপজেলার সব ইউনিয়নে মৌজাওয়ারী ভূমি মালিকের তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন তার দপ্তর। রেজিস্ট্রেশনের জন্য মোবাইল নাম্বার, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), পূর্ববর্তী দাখিলার কপি এবং প্রয়োজনে খতিয়ানের কপি ও দলিল নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জমি মালিকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতিতে প্রত্যেক নাগরিক ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে যে কোনো সময় যে কোনো স্থান থেকে ভূমি কর সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন ও কর পরিশোধ করতে পারবেন। অনলাইনে পেমেন্ট করা ও অনলাইনে দাখিলা পাওয়ার সুযোগ পাবেন। দেশের নাগরিকরা এখন থেকে ঘরে বসেই স্বস্তিতে অনলাইনে ভূমি নামজারি ব্যবস্থাপনা, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা, ভূমি নামজারি পর্যালোচনা ব্যবস্থাপনা, ভূমি মিস কেস ব্যবস্থাপনা, মিউটেশন ফি, খতিয়ান ফিসহ যাবতীয় ভূমি সেবা ফি পরিশোধ করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নাগরিকরা ঘরে বসেই অনলাইনে সব ফি জমা দিতে পারবেন। ফলে যেকোনো স্থান থেকে ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজ পদ্ধতিতে কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে ভূমি কর পরিশোধ করতে পারবেন। যদি কেউ এ পদ্ধতিতে কর পরিশোধ করতে সক্ষম না হয়, তবে যেকোনো কম্পিউটার দোকানে গিয়ে বা যেকোন তথ্য সেবা কেন্দ্রে গিয়ে এ সুবিধা নিতে পারবেন। পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেলের মাধ্যমে আদায় করা অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সেটেলমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হয়ে ই-চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে স্থানান্তরিত হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ জুন, ২০২১ এর পর থেকে প্রচলিত (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে আর ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে না। এর পরিবর্তে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। এর ফলে ভূমি মালিকগণ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে না গিয়ে অর্থাৎ ঘরে বসে কিংবা দেশের বাইরে বসেও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান এবং দাখিলা সংগ্রহ করতে পারবেন। উপজেলার সকল ইউনিয়নে মৌজাওয়ারী ভূমি মালিকের তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। এ প্রচেষ্টা সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি । সহযোগিতার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কাগজপত্র সমূহ সাথে নিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন তিনি। কাগজপত্র সমূহ হলো- খতিয়ানের কপি, দলিল, পূর্ববর্তী দাখিলার কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সচল মোবাইল নাম্বার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com