মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হবিগঞ্জে দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজির দাম হবিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এনামুল হক সেলিম ॥ হবিগঞ্জ জেলায় কোন সংখ্যা লঘু বা সংখ্যাগুরু নাই, সকলেই আমরা বাংলাদেশী হবিগঞ্জের ৬৪৩ মণ্ডপে দূর্গোৎসব শুরু মাধবপুরে কাভার্ড ভ্যান থেকে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে হকৃবি’র বাজেট ঘোষণা ॥ স্বচ্ছতা ও বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সবার সহযোগিতা চাইলেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ চুনারুঘাটে ২৯ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক হবিগঞ্জে আদি গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বাল্লা সীমান্তে আটক ৩ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভায় জি কে গউছ ॥ পূজায় মন্দির পাহারা দিবে বিএনপি ও অঙ্গন সংগঠনের নেতাকর্মীরা

নবীগঞ্জে হত্যা নিয়ে নাটকের অভিযোগ

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৮২ বার পঠিত

নবীগঞ্জে বাউসা ইউনিয়নের দেবপাড়া বাশড়র গ্রামে বিজনা নদীর ইজারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত বৃদ্ধ জাহির আলী হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে দুর্বৃত্তদের আড়ালের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত জাহির আলীর পরিবারের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের দাবি ঘটনাকে আড়াল করতে হৃদয় নামের জনৈক ব্যক্তিকে বাদী সাজিয়ে প্রতিপক্ষের ৩ জনকে আত্মীয়তার সূত্রে ও টাকার বিনিময়ে বশীভূত করে এ নাটক সাজানো হয়েছে। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত জাহির আলীর ভাতিজা মো. বিলাল মিয়া। বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছরের ১৬ই জুলাই বাশড়র গ্রামে বিজনা নদীর ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও হামলায় তার চাচা বৃদ্ধ জাহির আলী প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার চাচার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আরশ আলী বাদী হয়ে ৯২ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিলাল মিয়া বলেন, জামিন লাভ করে আসামিরা গ্রামে এসে তাণ্ডবলীলা চালায়। পরিকল্পিতভাবে হামলা ও লুটপাট করে। ৩টি হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আবুল হোসেন বাদী হয়ে থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি বশির ও রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই কাউন্টার মামলা সাজানোর দাবি করা হয়। কাউন্টার মামলায় মিজবাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে পুলিশ। কাউন্টার মামলায় আটক জিলু কেনো পক্ষের লোক ছিল না। সে কোনো মামলার আসামিও নয়। সে হবিগঞ্জ শহরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। মিজবার শ্বশুর আব্দুল হান্নান ও চাচা শ্বশুর আব্দুল মন্নান প্রতিপক্ষের লোক। অপর গ্রেপ্তারকৃত জিলু হত্যা মামলার আসামি আব্দুল মন্নাফ ও বশিরের ভাতিজা। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত সামসুলের ভগ্নীপতি প্রতিপক্ষের নেতা রাজা মিয়া। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিরা টাকার প্রলোভন দিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রহসনের জবানবন্দি দিতে রাজি করে। এ ছাড়াও হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে হত্যার মোটিভ আড়ালে জড়িত মর্মে অভিযোগ করা হয়। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ই জুলাই বাউসা ইউনিয়নের দেবপাড়া বাশড়র গ্রামে বিজনা নদীর ইজারাকে কেন্দ্র করে বাশড়র দেবপাড়া গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ ও হামলায় বৃদ্ধ জাহির আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় ২০শে এপ্রিল জনৈক হৃদয় মিয়ার দায়েরকৃত কাউন্টার মামলা রেকর্ড করে ৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে তোলপাড় চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com