বাহুবলে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেল পুড়ানো ঘটনায় মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার বাহুবল ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৬০০/৭০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে মামলার পরপরই এজাহারভূক্ত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের হাজী আফসর উদ্দিনের পুত্র নোমান মিয়া (২০) ও সিহাব মিয়া (১৯), ইসলামপুর গ্রামের হোসাইন মিয়ার পুত্র জুনাইদ (৩২) ও শংকরপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র আব্দুল মালেক (৪৫)।
প্রসঙ্গত , গত মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কের বাহুবল উপজেলা সদর সংলগ্ন বাগান বাড়ি পয়েন্টে বাসের চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত ও নারীসহ ৩ আরোহী আহত হয়। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকরা হাইওয়ে পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল বাজার থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন আটকে দেয়। এ সময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply