হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রানিগাও ইউনিয়নের পুর্বাঞ্চল পাহাড় বেষ্টিত গড়মছড়ি গ্রামে মা ও মেয়েকে হাত,মুখ বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে গরমছড়ি ফরেস্ট মাজারসংলগ্ন পাহাড় বেষ্টিত একটি বাড়িতে মা ময়েকে গণধর্ষণ করে একদল যুবক। এ ঘটনায় চুনারুঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে গণধর্ষণের অভিযুক্ত প্রধান আসামী পুর্বাঞ্চলের ত্রাস নজির বাহিনীর প্রধান নজিরের নাতি জীপধরছড়া শফিক ডাকাতের ছেলে মো: শাকিল মিয়া(২৫) ও তার বন্ধু মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (১৯) কে গ্রেফতার করেন। গতকাল নির্যাতি মেয়ে বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন । নির্যাতনের স্বীকার মা মেয়ে জানায়, শাকিলের নেতৃত্বে একদল যুবক ঘরে প্রবেশ করে জোড়পুর্বক হাত মুখ বেধে গণধর্ষণ করে চলে যায়। ধর্ষকরা চলে গেলে নির্যাতিতা মা মেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং তাদেরকে ঘটনা জানান। তাদের আত্নীয়র মাধ্যমে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন এবং থানায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত পূর্বাঞ্চলে ত্রাস নজির বাহিনীর প্রধান নজিরের নাতি শফিক ডাকাতের ছেলে শাকিল মিয়া জানায়, সে ও তার বন্ধু হারুন ওই গৃহবধূকে জৈনিক কাইয়ুম মিয়া ধর্ষিতা বেয়াইনকে শাসানোর জন্য ভাড়াটিয়া হিসাবে গড়মছড়ি আমেনার বাড়িতে পাঠান তারা এদের পুর্ব পরিচিত। উল্লেখিত সময়ে আটককৃতরা শাসানোর পর মা’ ও মেয়েকে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। এদিকে মা, মেয়ের মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে ভিকটিমরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বিষয়টি জানার পর আজ দুপুরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা চুনারুঘাট থানায় আসেন এবং ভিকটিমদের সাথে কথা বলেন এবং এঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতারে নির্দেশ দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চম্পক দামকে । এসময় উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর সার্কেল মো: নাজিম উদ্দিন। ওসি(ভারপ্রাপ্ত) ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হয়েছে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a Reply