ডেস্কঃ কোভিড-নাইনটিন মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরির জোর প্রচেষ্টা চলছে বিশ্বজুড়ে। চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা সবার জন্য ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পারবে। সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষের ওপর ট্রায়াল করছে প্রতিষ্ঠানটি।
চীন জরুরি ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতিও দিয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সংকটাপন্ন রোগীদের চীনা ভ্যাকসিন সরাসরি প্রয়োগে কোনো বাধা নেই। এ ভ্যাকসিনের উৎপাদন হবে ইন্দোনেশিয়ায়।
এদিকে রাশিয়া আবারও দাবি করেছে ‘স্পুটনিক ফাইভ’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। এরই মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে এর প্রয়োগ করা হয়েছে। বেলারুশে কয়েকদিনের মধ্যে গণহারে প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসন শুরু করেছে তাদের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল। কয়েকটি দেশে তারা ৬০ হাজার মানুষের দেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে। আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজারের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, অক্টোবরের শেষে তারা তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল পাবেন।
এদিকে, ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, একটি ভ্যাকসিনই পারে বিশ্বকে করোনামুক্ত করতে। বলেন, জীবন বাঁচাতে এখন আমাদের একটি নিরাপদ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। যত দ্রুত সম্ভব এটি করতে চাচ্ছি আমরা। ব্রিটিশ সরকার প্রস্তুত সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে।
ভ্যাকসিন উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান আশা জানান, নতুন বছরে করোনা দূর করতে সক্ষম হবে তার দেশ।
Leave a Reply