ডেস্কঃ সাগরে লঘুচাপ। দেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে চলছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, যা কখনো কখনো ভারি বৃষ্টিতে রূপ নেয়। এভাবেই বৃষ্টিস্নাত কেটেছে গতকাল মঙ্গলবার পুরোটা দিন। গতকালের মতো বুধ ও বৃহস্পতিবারও হতে পারে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি। এরপর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে। লঘুচাপের কারণে উপকূল ও বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, যা আজ বুধবারও বহাল থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে ৪৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার।
এ ছাড়া নোয়াখালীতে ৭৫ মিলিমিটার, বগুড়ায় ৬৫ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ৬০ মিলিমিটার, বরগুনায় ৫৯ মিলিমিটার এবং বরিশালে ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে ৪৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও চট্টগ্রাম নগরী রক্ষা পায়নি জলাবদ্ধতা থেকে। গতকালও নিম্নাঞ্চল যথারীতি ডুবেছে। ভরা বর্ষা মৌসুমের মতোই মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ফলে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়েছে। কর্মজীবীরাও ছিলেন সমান দুর্ভোগে। আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতাল যথারীতি পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে কোথাও কোথাও সাময়িক যানজট দেখা দেয়।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মেঘনা অববাহিকার প্রধান সব নদীর পানি সমতল থেকে বাড়তে পারে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি সমতল থেকে কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে।
পর্যবেক্ষণে থাকা দেশের ১০১টি স্টেশনের মধ্যে পানি বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ৪০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে তিনটির এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে একটির।
Leave a Reply