ছবি:সংগৃহিত
ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজ, বিশেষ করে বেসরকারি কলেজগুলো তীব্র শিক্ষার্থী সঙ্কটে ভুগছে। সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে ২০১৭ সালে ১৩ লাখ আসন শূন্য ছিল। ২০১৬ সালে এ শূন্য আসনের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৭২ হাজার। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রকাশিত সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এক দিকে প্রতি বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির তীব্র ভিড়, অপর দিকে সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে এভাবে আসন শূন্য পড়ে থাকা অনেকের কাছে যেমন বিস্ময়কর তেমনি দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্নের।
ইউজিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৭ সালে সারা দেশের কলেজে মোট শিক্ষার্থী ভর্তির আসনসংখ্যা ছিল ২১ লাখ ১৬ হাজার। এসব আসনের বিপরীতে ওই বছর শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে মাত্র সাত লাখ ৭৪ হাজার। আসন শূন্য ছিল ১৩ লাখ ৩১ হাজার। এতে আরো বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি বা স্নাতক পাস পর্যায়ে প্রথম বর্ষে ভতির আসনসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ এক হাজার। ডিগ্রি অনার্স পর্যায়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন ছিল চার লাখ ১২ হাজার। ডিগ্রি পাস ও অনার্স মিলিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন ছিল মোট ১৯ লাখ ১৪ হাজার। আর ২০১৭ সালে এ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয় মাত্র ছয় লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থী।
একই বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পাস, ডিগ্রি অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটসহ মোট আসনসংখ্যা ২১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৪টি। এর বিপরীতে ভর্তি হয়েছে সাত লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৯ জন। আসন শূন্য ছিল ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।
অপর দিকে ২০১৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পাস পর্যায়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন ছিল ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ১০০টি। ভর্তি হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩০১ জন। ডিগ্রি অনার্সে আসন ছিল ৪ লাখ ১২ হাজার ৪৬৫টি। ভর্তি হয় ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৯ জন। ডিগ্রি পাস ও অনার্সে মোট আসন ছিল ১৯ লাখ ৫৬৫টি। ভর্তি হয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৯শ জন। সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ও অঙ্গীভূত মোট কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ২৬৯টি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে আসন শূন্য থাকা বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, নিতান্ত বাধ্য হয়ে এখানে ভর্তি হন অনেক শিক্ষার্থী। এইচএসসি পাস করার পর বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলে যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে তারা ভর্তি হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু যাদের সে সামর্থ্য নেই তারা বাধ্য হয়ে ভর্তি হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো কলেজে। সে ক্ষেত্রেও তাদের লক্ষ্য থাকে নামকরা কোনো সরকারি কলেজ।
কিন্তু এইচএসসি পাস করার পর কোনো সরকারি কলেজেও চান্স পায় না যারা তাদের শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয় কোনো বেসরকারি কলেজ। আর এ ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বেসরকারি কোনো কোনো কলেজে পড়ার চেয়ে না পড়া ভালো। এক দিকে বেরসরকারি কলেজে অনার্সে পড়ার খরচ বেশি তারপর প্রশ্ন রয়েছে মান নিয়ে।
সে কারণে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থী এইচএসসি পাস করার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হওয়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু তারপরও তাদের অনেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজে ভর্তি হচ্ছে না। অনেকে ইয়ার লস দিয়েও কোথাও চান্স না পেয়ে পড়ালাখায় ইস্তফা দেয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান সরকারি কলেজে তেমন কোনো শিক্ষার্থী সঙ্কট নেই।
মূলত, গ্রামপর্যায়ের বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে এ সঙ্কট তীব্র। এমনকি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা শহর, বড় বড় উপজেলা শহরে অবস্থিত অনেক বেসরকারি কলেজেও শিক্ষার্থী সঙ্কট রয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজ, বিশেষ করে বেসরকারি কলেজগুলো তীব্র শিক্ষার্থী সঙ্কটে ভুগছে। সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে ২০১৭ সালে ১৩ লাখ আসন শূন্য ছিল। ২০১৬ সালে এ শূন্য আসনের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৭২ হাজার। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রকাশিত সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এক দিকে প্রতি বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির তীব্র ভিড়, অপর দিকে সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে এভাবে আসন শূন্য পড়ে থাকা অনেকের কাছে যেমন বিস্ময়কর তেমনি দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্নের।
ইউজিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৭ সালে সারা দেশের কলেজে মোট শিক্ষার্থী ভর্তির আসনসংখ্যা ছিল ২১ লাখ ১৬ হাজার। এসব আসনের বিপরীতে ওই বছর শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে মাত্র সাত লাখ ৭৪ হাজার। আসন শূন্য ছিল ১৩ লাখ ৩১ হাজার। এতে আরো বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি বা স্নাতক পাস পর্যায়ে প্রথম বর্ষে ভতির আসনসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ এক হাজার। ডিগ্রি অনার্স পর্যায়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন ছিল চার লাখ ১২ হাজার। ডিগ্রি পাস ও অনার্স মিলিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন ছিল মোট ১৯ লাখ ১৪ হাজার। আর ২০১৭ সালে এ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয় মাত্র ছয় লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থী।
একই বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পাস, ডিগ্রি অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটসহ মোট আসনসংখ্যা ২১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৪টি। এর বিপরীতে ভর্তি হয়েছে সাত লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৯ জন। আসন শূন্য ছিল ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।
অপর দিকে ২০১৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পাস পর্যায়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন ছিল ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ১০০টি। ভর্তি হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩০১ জন। ডিগ্রি অনার্সে আসন ছিল ৪ লাখ ১২ হাজার ৪৬৫টি। ভর্তি হয় ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৯ জন। ডিগ্রি পাস ও অনার্সে মোট আসন ছিল ১৯ লাখ ৫৬৫টি। ভর্তি হয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৯শ জন। সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ও অঙ্গীভূত মোট কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ২৬৯টি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে আসন শূন্য থাকা বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, নিতান্ত বাধ্য হয়ে এখানে ভর্তি হন অনেক শিক্ষার্থী। এইচএসসি পাস করার পর বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলে যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে তারা ভর্তি হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু যাদের সে সামর্থ্য নেই তারা বাধ্য হয়ে ভর্তি হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো কলেজে। সে ক্ষেত্রেও তাদের লক্ষ্য থাকে নামকরা কোনো সরকারি কলেজ।
কিন্তু এইচএসসি পাস করার পর কোনো সরকারি কলেজেও চান্স পায় না যারা তাদের শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয় কোনো বেসরকারি কলেজ। আর এ ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বেসরকারি কোনো কোনো কলেজে পড়ার চেয়ে না পড়া ভালো। এক দিকে বেরসরকারি কলেজে অনার্সে পড়ার খরচ বেশি তারপর প্রশ্ন রয়েছে মান নিয়ে।
সে কারণে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থী এইচএসসি পাস করার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হওয়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু তারপরও তাদের অনেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজে ভর্তি হচ্ছে না। অনেকে ইয়ার লস দিয়েও কোথাও চান্স না পেয়ে পড়ালাখায় ইস্তফা দেয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান সরকারি কলেজে তেমন কোনো শিক্ষার্থী সঙ্কট নেই।
মূলত, গ্রামপর্যায়ের বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে এ সঙ্কট তীব্র। এমনকি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা শহর, বড় বড় উপজেলা শহরে অবস্থিত অনেক বেসরকারি কলেজেও শিক্ষার্থী সঙ্কট রয়েছে।
সুত্র:নয়া দিগন্ত
Leave a Reply