নুর উদ্দিন সুমন : জেলার নবীগঞ্জে শালী দুলাভাই পরকিয়া। দৈহিক মিলনে বাধা দেয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করে মেয়ে ও জামাতা। এ ঘটনায় ঘাতক মেয়ে ও জামাতাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান- নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হিরন মিয়ার বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে মোগল মিয়ার সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক বছর পর জেসমিন আক্তার জিবিকার তাগিদে সৌদিআরব চলে যান। এরপর থেকে মোগল মিয়া তার শিশুপুত্র ইয়াসিনকে নিয়ে শ্বশুড়ালয়ে বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে করেন
এ সুযোগে মোগল মিয়া তার শালিকা শান্তি বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। একাধিক বার তারা দুইজন শারীরি সম্পর্কও স্থাপন করে। এক সময় তাদের শারীরিক সম্পর্ক চলাকালে নিহত ছলেমা বেগমের (মোগল মিয়ার শ্বাশুড়ি ও শান্তি বেগমের মা) হাতে ধরা পড়েন। এ সময় মেয়ে ও জামাতার সম্মানের কথা চিন্তা করে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে দুজনকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন। কিন্তু এরপরও তাদের অবৈধ মেলামেশা চলতে থাকে। ঘটনার দিন (১ আগস্ট) ঈদের দিন রাতে তারা ঘরের মেজেতে আবারও অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। ছালেমা বেগম তাদেরকে দেখে চিৎকার করেন।এ সময় জামাতা মোগল মিয়া ও ছোট মেয়ে শান্তি বেগম মিলে ছলেমা বেগমের মুখ চেপে ধরে ঘরে থাকা দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোগল মিয়া নিজ ঘরে গিয়ে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমিয়ে পরেন এবং শান্তি বেগম ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করতে থাকেন। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তিনি জানান তার মাকে ডাকাতদল গলা কেটে হত্যা করেছে। পুলিশ সুপার আরও জানান- এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হিরন মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুই ঘাতকসহ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ বিষয়ে বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো: পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এর নির্দেশনায় টীম নবীগঞ্জকে নিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হই। আমাদের তৎপরতার কারনে মেয়ের সাজানো নাটক খুব বেশী দূর যেতে পারেনি। মেয়ে নিজেই আমাদের জালে আটকা পড়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply