নুর উদ্দিন সুমন : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রাম্মি নামে এক যুবকের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করেছে একটি চক্র। এ ঘটনায় রাতভর পুলিশি অভিযানে উদ্ধার করা হয় অপহৃত যুবক আনিসুর রহমান রাম্মিকে। এসময় ৪ অপহরণকারী গ্রেফতার হলেও পলাতক রয়েছে চক্রটির মূল হোতা প্রেমিকা মেঘনা আক্তার সুজনা ওরফে সাথী। এ ঘটনায় প্রতারক সাথীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার শরীফনগর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে বিক্রয় প্রতিনিধি আনিসুর রহমান রাম্মির (২৪) প্রেমের সম্পর্ক ছিল বানিয়াচং উপজেলার সাগরদিঘীর দক্ষিণ পাড় গ্রামের ছমেদ মিয়ার মেয়ে মেঘনা আক্তার সুজনা ওরফে সাথীর (২০) সাথে। মোবাইল ফোনে প্রেমের এক পর্যায়ে তাদের মাঝে দেখা করার কথা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সাথীর কথামতো নতুন বাজার সংলগ্ন ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী স্থানে আসেন রাম্মি। এ সময় ৫/৬ জন তাকে অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে রাম্মির বাবার নিকট মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি।
ছেলেকে ফিরে পেতে ২০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান রাম্মির বাবা। পরে আরো টাকা দাবি করলে তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হন। এরপরই রাতভর অভিযান চালিয়ে ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী একটি বসতবাড়ি থেকে জিম্মি অবস্থায় রাম্মিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ৪ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে যায় সাথীসহ আরো দুই আসামি।
আটককৃতরা হলেন- জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের মৃত মোক্তাদির হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২৪), একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (১৯), যাত্রাপাশা গ্রামের আশাদুল মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া (২০) ও সালাউদ্দিনের ছেলে জাহেদ মিয়া (২০)।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম মিয়া ও বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরান হোসেন।
পুলিশ জানায়, বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে অপহরণকারী চক্রকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার যুবকের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অভিযানকালে ৪ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরান হোসেন জানান, অভিযুক্ত সাথীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply