সেবা ডেস্ক ঃবাংলাদেশ পুলিশ । যার রয়েছে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস। ২৫মার্চ ১৯৭১ এ প্রথম প্রতিরোধ গড়েতোলে বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা। বাংলাদেশে পুলিশ নিয়ে আমাদের অনেক অভিযোগ অনেক অনুযোগ। কিন্তু এর মাঝেও বৈরি পরিবেশ মোকাবেলা করে যায় বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যবৃন্দ। প্রজাতন্ত্রের নানা অংশের মাঝে পুলিশই নানা ভাবে সরাসরি জনগনের মাঝে কাজ করে। এজন্যই হয়ত পুলিশের উপর মানুষের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। মানুষের ঘৃণা, অনুযোগ, অভিযোগ সবকিছুকে মাথার একপাশে সরিয়ে রেখে দিন রাত কাজ করে যায় পুলিশের সদস্যবৃন্দ। সব পেশাতেই কিছু দুষ্টলোক থাকে তেমনই ভালো মানুষও আছে অনেক। তেমনই পুলিশের অনেক সদস্য দেশের জন্য সব কিছু ভুলে কাজ করেন, জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না। তাদের জন্যই আমরা নিরাপদ থাকি। বিপদে ছুটে যাই তাদের কাছে।
তেমনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মোঃ আব্দুল্লাহ জাহিদ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যিনি অভিজান পরিচালনা করেছেন একাধিকবার। নিজের মেধা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সমাধান করেছেন একাধিক মামলার জট। তার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে লাভ করেন IGP’s Exemplary Good Services Badge Grade-A.। এর পর তিনি চলে আসেন আমের শহর হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ। এখানে তিনি আই সি টি ও জেলা গোয়েন্দা শাখায়। এখানেও তিনি স্বাক্ষর রাখেন তার বিচক্ষনতার। সততা নিষ্ঠায় তিনি সেখানেও অল্পদিনে ভরসার নাম হয়ে ওঠেন। তারই সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এবার ঘোষিত হলেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক “প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল” এ। এটি একটি বিরল সম্মাননা। একই সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর পুলিশ সুপার এ টি এম মোজাহিদুল ইসলামও (বিপিএম) এবার এ পদক পাচ্ছেন।মোঃ আব্দুল্লাহ জাহিদ এর বাড়ি সোনাতলা থানার আগুনিয়াতাইড় গ্রামে। তিনি লেখাপড়া করেছেন স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনাতলা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। সেখানে শুধু তিনি একজন কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবেই নয় সেখানে তিনি একজন ভালো খেলোয়াড়ও। এরপর তিনি সৈয়দ আহমদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ। এখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে। সংসার জীবনে তিনি দু সন্তানের জনক।তাঁর এ অর্জন সোনাতলাবাসীর জন্য গৌরবের। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আইকন। তরুণ প্রজন্ম কে বিপথগামী হতে রক্ষা করতেও তিনি কাজ করেন নীরবে।
Leave a Reply