নুর উদ্দিন সুমন : করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না। কাজ না থাকায় বহু মানুষ খাবারের কষ্ট করছেন। লকডাউনের পর থেকেই বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি মোঃ আতাউর রহমান” নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বৃদ্ধের করুণ কাহিনী নিয়ে একটি পোস্ট দেন। তিনি লিখেছেন, সম্পত্তি না থাকলে যা হয়.এক সময়ের চুনারুঘাট রাজপথে নৌকার একক মিছিল কারি সকলের পরিচিত মুখ, চুনারুঘাটে দ্বি মাগুরউন্ডা গ্রামের কাদির পাগলা ভাল নেই, বাড়ির আঙ্গিনার একপাশে বসে অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করছেন। স্থানীয় লোকজনসহ কেউ তার খোজ খবর নেয়নি। এমন পোস্ট ফেইসবুকে দেখে অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় দাশ খাদ্যসামগ্রী তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। (২০মে বুধবার) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলা পরিষদের সিএ মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম সুমন, চাল, ডাল, তেল, সেমাই, পিয়াজ, আলু, লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কাদির মিয়ার হাতে তুলে দেন। এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে বৃদ্ধ কাদির বলেন, আমি অচল অসুস্থ, এছাড়া করোনার কারনে বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে আমাদের। আমি এমন সহযোগীতা পাবো ভাবতেই পারিনি। ইউএনও স্যার আমার জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছন। দোয়া করি আল্লাহ স্যারের ভাল করুন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, সংবাদ পেলেই কর্মহীন দরিদ্র ব্যক্তিদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। যাতে করে কোন লোক অনাহারে না থাকেন এবং ঘর থেকে বের হতে না হয়। তার জন্য যতটা সম্ভব কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে যে সকল পরিবার অসহায় ও গৃহবন্দী রয়েছেন তাদেরকেও খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। তবে সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, কেউ না খেয়ে থাকবেনা ইনশাল্লাহ, আপনারা মনোবল হারাবেন না, আমরা যখনই অসহায়দের খোঁজ খবর পাই তাৎক্ষণিক খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি, দয়া করে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না।
Leave a Reply