নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, বিমান পরিবহন ও পযর্টন মন্ত্রনালয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। যে কোন মুল্যে বিমানকে লাভজনক করবো এবং এর সুনাম অক্ষুন্ন রাখবো। প্রয়োজনে সচিবালয়ে না থেকে রাতদিন বিমানবন্দরে পড়ে থেকে হলেও এ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মে গতিশীলতা আনবো। বৃহস্পতিবার বিকেলে চুনারুঘাটে উপজেলা প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরই আমি সিভিল এভিয়েশন ও বিমানবন্দরে গিয়েছি। খুটিনাটি সব ঘুরে দেখেছি। এরপরই প্রধানমন্ত্রী আমাকে তার কার্যালয়ে ডাকেন। প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম নতুন হিসেবে কোন ভুল করেছি কি-না। কিন্তু তিনিও আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের চ্যালেঞ্জিংয়ের কথা বলেছেন। আমি তাকে আশ^স্থ করেছি সচিবালয়ে না থেকে রাতদিন বিমানবন্দরে পড়ে থেকে হলেও কাজকর্মে গতিশীলতা আনার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, বিমান খাতকে লাভজনক করার চেয়ে যাত্রীসেবা শতভাগ নিশ্চিত করা জরুরী। বিমানের অবকাঠামোগত উন্নত ছাড়াও বিমান বন্দরে সাধারণ যাত্রীরা যাতে হয়রানীর শিকার না হন; সেদিকে নজর রাখা দরকার। যা করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত দাপটের সাথে বিমান ব্যবসা করছে। কিন্তু তারাও এখন পর্যন্ত লাভবান হতে পারেনি। যেহেতু এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা; তাই আমাদের সেবার মান বাড়াতে হবে।
পর্যটন সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সম্ভাবনাময় স্থানগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলা হবে। এছাড়া যে স্থানগুলো মানুষকে আকৃষ্ট করে; সেগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলার পাশাপাশি রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও মান্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সামান্য সমুদ্র সৈকত নিয়েও থাইল্যান্ড বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করতে পারছে। তাদের তুলনায় অনেক বড় সমুদ্র সৈকত রয়েছে আমাদের এখানে। এগুলোর আরো উন্নয়ন করে পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এ সময় তিনি হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা যাওয়ার রাস্তা নির্মাণ, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আরো উন্নয়ন কাজসহ বানিয়াচঙ্গের কমলা রাণীর দীঘির উন্নয়ন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ইকবালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের, অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান, পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, সৈয়দ লিয়াকত হাসান, আলহাজ্ব রজব আলী, শামসুজ্জামান শামীম, সবজু তরফদার, আবেদ হাসনাত সনজু চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী, রমিজ উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান, আপন মিয়া, চুনারুঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল আমিন, সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী চুনারুঘাট পৌঁছলে উপজেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় তাকে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে বরণ করে। পরে মন্ত্রী চুনারুঘাট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
Leave a Reply