কাজী মাহমুদুল হক সুজন।। মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ত্রান পৌছে দিচ্ছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পৈল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুক হক আরিফ। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২/১ টা পর্যন্ত নিজের সিএনজি অটোরিস্কা যোগে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের তালিকানুযায়ী চলে ত্রান কাজ। এক্ষেত্রে উনাকে সহযোগীতা করেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার যুবকরা। আগে মেম্বারদের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করে রাখেন। তারপর পর্যায়ক্রমে উনি বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের হাতে পৌছে দেন ত্রান। শুধু সরকারী বরাদ্ধ থেকেই নয় পারিবারিক ভাবে তহবিল গঠন করে মধ্যেবৃত্ত ও কর্মহীন পরিবারেও দেন খাদ্য সহায়তা। ত্রান নিয়ে যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যান তখন সরকার থেকে পাওয়া ত্রানের পাশাপাশি নিজের তহবিল থেকে রাখেন বেশ কয়েকটি ব্যাগ। যে ব্যাগে থাকে ৫/৬ কেজি চাল।কখন কে বলে চেয়ারম্যান সাব আমার ঘরে খানি নেই। তাৎক্ষনিক দিয়ে দেন চালের এ ব্যাগ।।এ মহতী উদ্যেগকে ইউনিয়নবাসী স্বাগত জানিয়ে বলেছেন এ যেন আমরা দ্বিতীয় সাবকে পেয়েছি। পূর্ব পৈল গ্রামের মাছ ব্যাবসায়ী জিয়াউর রহমান বলেন আমাদের চেয়ারম্যান সাব সততার প্রমান রেখেছেন। তিনি যে কত উদার মনের মানুষ,কত সৎ তিনি এই করোনার মধ্যে প্রমান করেছেন। দিনরাত ইউনিয়নবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
পৈল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ বলেন ত্রান হল গরীবের হক,তাদের হক আমি তাদের বাড়ীতে দিয়ে আসি,কারন পৈলবাসী আমাকে ২০১৬ সনে নির্বাচনে তাদের আনামত (ভোট) দিয়েছিল। আমি তাদের আমানত রাখার চেষ্টা করছি। আমার পিতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ আহমদুল হক সাহেবের আদর্শ বুকে ধারন করে,তার নীতি আদর্শে ইউনিয়নবাসীকে সেবা দেয়ার অঙ্গীকার বদ্ধ। কারন উনার শিখানো পথে হাটার চেষ্টা করছি মাত্র। উপজেলা প্রকল্প অফিসের এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন দেশে যেখানে প্রতিদিন ত্রানের চাল নিয়ে নিউজ হচ্ছে সেকানে পৈল ইউনিনের চেয়ারম্যান এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্তাপন করছেন। আসলে তাদের মত জনপ্রতিনিধিই এ সমাজে বড় অভাব।উনার এ কাজকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
Leave a Reply