হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের যমুনাবাদ গ্রামে নাজমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নাজমার পিতার পরিবারের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে হবিগঞ্জ শহরের পূর্ব মাহমুদাবাদ এলাকার দুবাই প্রবাসী শফিক মিয়ার কন্যা। গতকাল শুক্রবার বিকালে সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান ও এসআই এসএম আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন।
নাজমার চাচা জানান, গত ২ বছর আগে নাজমাকে যমুনাবাদ গ্রামের কালা মিয়ার পুত্র সিএনজি চালক শরীফ মিয়া (৩০) এর সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর জানতে পারে শরীফ মাদকসেবী। প্রায়ই নাজমার উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাত। বর্তমানে নাজমা ৬ মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে কৌশলে সদর হাসপাতালের এক নার্সের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটায় শরীফ। নাজমার সন্তান নষ্ট করায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বামীর সাথে অভিমান করে পিত্রালয়ে অবস্থান করে আসছিল।
এদিকে, নাজমার স্বামী শরীফ স্থানীয় মুরব্বীদের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা চালায়। অবশেষে নাজমার মা নাজমাকে স্বামীর বাড়িতে দিতে রাজি হন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে যমুনাবাদের দু’জন মুরুব্বীর মাধ্যমে শরীফ শ্বশুর বাড়ী থেকে নাজমাকে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরই নাজমার উপর নির্যাতন চালায়। বিষয়টি নাজমা তার পিত্রালয়ে জানায়। রাতে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়।
শুক্রবার সকালে শরীফের বাড়ি থেকে নাজমার পিত্রালয়ে খবর পাঠানো হয়, নাজমা আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ সাথে নিয়ে তারা দেখতে পান নাজমার মৃত দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাছাড়া স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক। এতে তাদের সন্দেহ আরও ঘনীভুত হয়।
নাজমা’র মা জায়েদা বেগম জানান, শরীফ ও তার পরিবারের লোকজন নাজমাকে বেদড়ক মারপিট করে হত্যা করেছে। এ কারণে ওই মুরুব্বীরা এবং শরীফ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্য নাজমাকে কৌশলে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নিব।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।
Leave a Reply