মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মাধবপুর সীমান্তে আটক ৬ অনুপ্রবেশকারী জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে চুনারুঘাটে নিহত রাজু মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার চুনারুঘাট থানায় ব্যারিস্টার সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ ॥ নিরাপত্তা জোরদার চুনারুঘাট ও মাধবপুরে ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক মাধবপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে নারীসহ আটক ৫ নবীগঞ্জে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল চুনারুঘাটে সাবেক এমপির গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আহত ॥ অতঃপর ফাঁকাগুলি মাধবপুরে ভারতীয় শাড়িসহ ৩ কোটি টাকার চোরাই পন্য জব্দ লাখাইয়ে বিনামূল্যে বিতরণকৃত ধান-বীজ দোকানে রাখার দায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

বানিয়াচংয়ে ৫ বছর ধরে পরিত্যক্ত ব্রীজ, দূর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৯
  • ৪৪০ বার পঠিত

মোহাম্মদ শাহ্ আলম, হবিগঞ্জ:হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ‘চিনাই নদীর’ ব্রীজটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষকে। বার বার জনপ্রতিনিধিদের দোয়ারে ধর্না দিয়েও কোন উপকার পাচ্ছেন না ভূক্তভোগীরা।

জানা যায়, বানিয়াচং উপলোর পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ‘চিনাই নদীর’ উপর প্রায় শতাধিক বছরের পোড়নো ব্রীজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ ব্রীজটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটিতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও নজর নেই ব্রীজটির দিকে। ফলে ব্রীজটি জীবন নাশের কারণ হতে পারে ভেবে স্থানীয় জনগণই এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। প্রায় ৫ বছর ধরে স্থানীয় জনগণ এটি ব্যবহার করছে না। ফলে নদী পারাপারে তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ।

স্থানীয় জানান, শুকনো মৌসুমে নদীর উপরে বাঁশের চট বিছিয়ে নদী পাড়াপার হচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিশু-বৃদ্ধরা নদী পাড় হতে গিয়ে অনেক সময় পিছিঁল খেয়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া পাড়াপর গওয়ার আর কোন মাধ্যম নেই এখানে। অথচ এই রাস্তা দিয়েই উপজেলাসহ জেলা সদরে আসতে হয় বানিয়াচং উপজেলার ৫/৬টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে। সেই সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার ২/৩টি গ্রামের আরও ৫ হাজার মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে এই রাস্তা দিয়ে যাতাযাত করেন।

ব্রীজটি সংস্কারের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ণা দিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। অথচ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টো উপজেলা চেয়ারম্যানও স্থানীয় সাংসদের উপর দায় চাপিয়ে দেন তিনি।

এ ব্যাপারে কলেজছাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন- ‘দীর্ঘদিন ধরে এই ব্রীজটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে আমরা ব্রীজটি ব্যবহার করছি না। ফলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।’
তিনি বলেন- ‘সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। এর আগেই ব্রীজটি নির্মাণ না করা হলে এই এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষের দূর্ভোগের শেষ থাকবে না।’

অন্য এক স্থানীয় বাসিন্ধা মো. জীবন মিয়া বলেন- ‘বার বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দোয়ারে ধর্ণ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে আমাদের অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন ‘শিশু ও বৃদ্ধরা বাঁশের চট দিয়ে নদী পাড় হতে গিয়ে অনেক সময় পিছিঁল খেয়ে পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এছাড়া এই ব্রীজটি না থাকার কারণে এই রাস্তা দিয়ে অনেক জায়গা হেটে গাড়িতে উঠতে হয়।’

এ ব্যাপারে স্থানীয় পৈলারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল রহমান খান গাঁ ছেড়ে বলেন- ‘ব্রীজগুলো দেখা আমাদেও বিসয় না। এটি উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি সাব দেখবেন। আমরা শুধু বিষয়টি তাদের কাছে উপস্থাপন করতে পারি।’
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছেন কি না ? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘এগুলো দীর্ঘ প্রকৃয়া। ঢাকা থেকে অর্ডার আসবে, টেন্ডার হবে এরপর কাজ। দেখা যাক

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com