(চকবাজারের চুড়িপট্টিতে আগুনে পোড়া মানুষগুলোর স্মরণে)
মোঃ রফিকুল নাজিম।ঃ সবে তো ফাল্গুন গেলো;এখনো চলে বসন্তের মৌতাত
পলাশের নিমন্ত্রণে জানালায় বাতাস এসে খুনসুঁটি করে
খোদার দরবারে গর্ভবতী মা শোকর গোজারে দিনরাত
আলোর আহ্বানে দেবশিশু পেটের পটে জলকেলি করে!
আতঙ্কিত মা দেখেন- পুরান ঢাকার পলেস্তা খসা দেয়াল
তেপ্পান্ন গলির এ শহরে বেড়ায় ঘুরে নোনতা ঘামের ঘ্রাণ,
শহুরে মানুষের হাকডাকে ব্যস্ত চকবাজারের চুড়িপট্টি
আহ্লাদি মা তীব্র ব্যথায়ও হাসেন- ছুঁয়ে প্রাণের বুকে প্রাণ।
আয়োজিত আগুনের কুন্ডে পুড়ে ছাই হয় কিছু আবেগ
কতকগুলো স্বাপ্নিক মগজে বুঁদবুঁদ উঠে আগুনের তাপে
বিছানায় সোহাগী রাত কাতরায়;বন্ধুদের জম্পেশ আড্ডায়
পোড়া দহন ছোবল তুলে নাচে;সভ্যতার সিঁড়িও ভয়ে কাঁপে!
চুড়িপট্টির গলিতে গড়াগড়ি খায় মায়ার চোখের জল
পুঁজিবাদী মস্তিষ্কে মুনাফার পারদ উর্ধ্বমুখী হাঁটে,
স্বার্থসিদ্ধির প্লেটে পরিবেশিত হয় আগুনে পোড়া মাংস
ভালোবাসার শেয়ারবাজারে মানবতার দর পতন ঘটে।
চুড়িপট্টির আগুনে প্রদর্শিত হয় নিমতলীর কয়লা মুখ
চোখে ভাসে লাশের সারি,প্রিয়জনের পাথরমূর্তি শোক!
অভ্যস্ত শরীরে পুড়ে আগুন,মনে নিত্য চাষবাস হয় বিষাদ,
নির্লিপ্ত দ্রোহী সত্ত্বায় চলে ‘মেনে ও মানিয়ে’ নেয়ার আবাদ!
Leave a Reply