মিজানুর রহমান সুমন (শায়েস্তাগঞ্জ) :- নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রিজ সেতুর ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাকসহ অন্য যানবাহন। চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ গোলচক্কর থেকে প্রায় ৩শ গজ দেিণ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের খোয়াই নদীর ওপর নতুনব্রিজ নামে পরিচিত লোহার সেতুটি ঝুঁকিপ‚র্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে সেতুর ওপর দিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ পাঁচ টনের বেশি মালবোঝাই যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য কওে সেতুর ওপর দিয়ে অতিরিক্ত মালবোঝাই যানবাহন চলছে। এতে যেকোনো মুহ‚র্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলার প্রাণকেন্দ্র শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রিজ থেকে ওই সেতু দিয়ে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ সহ বিভাগের বিভিন্ন ¯’ানে চলাচল করেন। এছাড়াও সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে সড়কপথে একমাত্র সড়ক ওই নদী পার হয়ে ওই পথে ঢাকা সহ সারাদেশের সঙ্গে প্রতিদিন চলাচল কওে যাত্রীবাহী বাস ও মালবোঝাই ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন। সেতুটির ঝুকিপ‚র্ণ মাথায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে সতর্কতার সাইনবোর্ড। ওই সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, সামনে তিগ্রস্ত সেতু, পাঁচ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষেধ। ¯’ানীয় লোকজনের অভিযোগ, ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ সেতু দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ টন মালবোঝাই ট্রাক পারাপার হ”েছ। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতু দিয়ে ইজিবাইক, যাত্রীবাহী বাস, বালুবাহী ও পাথরবাহী ড্রাম ট্রাক, মালবোঝাই ট্রাক, লরি, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। এ সময় ট্রাকচালক ফজলুর রহমান বলেন, সিলেট থেকে ঢাকা কিশোরগঞ্জ যাওয়ার একমাত্র পথ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু পারাপার হতে হচ্ছে। ওই পথে তিনি প্রতিনিয়ত পাথর ও বালু নিয়ে বি-বাড়ীয়া, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ চলাচল করেন। সেতু এলাকার বাসিনন্দা আলী হোসেন বলেন, ‘সেতুটি খুবই ঝুঁকিপ‚র্ণ। ভারী যানবাহন উঠলে দুলতে থাকে। সেতু বিভাগ পাঁচ টনের বেশি ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও কেউ সেটা মানছেন না। এই সেতু দিয়ে ১০ চাকার ট্রাকেও মালামাল নিয়ে যায়। সেতু বিভাগ সতর্কবার্তা দিয়ে তাদের দায় শেষ করেছে। দুর্ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত এটার কোনো সমাধান হবে না বলে আমরা মনে করছি। সেতু এলাকার আরেক বাসিন্দা আব্দুল হক বলেন, ‘আমরা দিনরাত দেখি ওই সেতু দিয়ে কী পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে। আমরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি, কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে। হবিগঞ্জ জেলা মোটর মালিক পরিবহন সমিতির নেতা আব্দাল মিয়া বলেন, ‘সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপ‚র্ণ অব¯’ায় আছে। এর মধ্যেই যানবাহন চলাচল করছে। সেটি সংস্কারের ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেও জানিয়েছি। কিন্তু সংস্কার হচ্ছে না। বড় কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটি সংস্কার বা পুনর্নিমাণ করা জরুরি। শায়েস্তাগঞ্জ সওজ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন বলেন, ‘লোহার সেতুটি পাঠল দেখা দেয়ায় আমরা ওই সেতুর ওপর পাঁচ টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করে সেতুর দুই প্রান্তে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছি। এর অধিক ভারী যানবাহন চলাচল করলে যেকোনো মুহ‚র্তে সেতুটি ধসে পড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, সেতুটি সংস্কারের মেনটেনেন্স করার জন্য অলরেডি প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে তারা প্রজেক্টের অধীনে সেতুটি দ্রæত মেরামত করা হবে।
Leave a Reply