ডেস্কঃ অবশেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজের বাজারে। খুচরা আর পাইকারি পর্যায়ে একযোগে অভিযান, অভ্যন্তরীণ মজুদ আর বহাল থাকা ঋণপত্রের পেঁয়াজ আসবে, এমন ঘোষণায় কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৮০ টাকা দরে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠাবে না ভারত, হঠাৎ করেই রফতানি বন্ধের এমন ঘোষণায় টালমাটাল হয়ে পড়ে বাজার। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড়ে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ছাড়ায় ১০০ টাকা!
এমন প্রেক্ষাপটেই বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে এখনও মজুদ আছে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ। যা দিয়ে চলা যাবে কমপক্ষে আড়াই মাস।
অস্থির বাজারের নেপথ্যে মন্ত্রী আঙ্গুল তোলেন ব্যবসায়ীদের দিকেই। আমদানির জন্য নতুন দেশ খোঁজার সঙ্গে ঘোষণা দেয়া হয় কঠোর তদারকির।
একদিন না যেতেই এবার পাইকারি পর্যায়ে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে আড়তগুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০-১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৭-৬০ টাকায়।
এরই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। খুচরা বিক্রেতারা আড়তদারদের উপর দায় চাপালেও, তাতে সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা।
ভারতে আটকে থাকা পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করলে এবং অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে দাম আরো কমে আসবে বলে জানান পাইকাররা।
Leave a Reply