স্টাফ রিপোর্টারঃ- চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে ৫ মাস ধরে লগডাউন। লকডাউনের ফলে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। এ সুযোগে জাতীয় উদ্যানে হরিণ শিকারে মেতে উঠেছে অসাধু শিকারিরা। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে হরিন শিকারের জন্য সব সময় চোরা শিকারিরা তৎপর থাকলেও লকডাউনের পর থেকে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৯ মার্চ থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। এই আদেশের পর বনরক্ষীরা কিছুটা ঢিমেতালে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। এসুযোগে চোরা শিকারিরা তৎপর হয়ে ওঠে হরিন শিকারে।
এদিকে ৬ আগস্ট সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে রামগংঙ্গা চা বাগানের হরিণ শিকারি বিফল বাড়াইক একটি মায়া হরিণ শিকার করে। এঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে বন বিভাগের লোকজন তার বাড়ি থেকে হরিণের মাংস ও মাথা উদ্ধার করে। এব্যাপারে ঘটনার তিন দির পরে বন বিভাগ মামলা দায়ের করে।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানসংলগ্ন এলাকাবাসী বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বনরক্ষীদের টহল কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ায় বনের অভয়ারণ্যে বিচরণ করা মায়া হরিন শিকারে মেতে উঠেছে সংঘবদ্ধ কয়েকটি শিকারিচক্র। এচক্রের সদস্যরা গোপনে বনের সংরক্ষিত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে মাংস বিক্রি করছে। এছাড়া চা শ্রমিকরা গোপনে বন্য শূকর ধরতে যে ফাঁদ পাতে সে সমস্ত ফাঁদেও হরিণ আটকা পড়ছে।
সাতছড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোতালিব হোসেন বলেন, বন বিভাগের লোকজন বন্যপ্রাণী ও বন সংরক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে।
Leave a Reply