বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
হবিগঞ্জে উপদেষ্টা ফরুক ই আজম বীর প্রতীক ॥ সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা যাতে সম্মানিত হন সে চেষ্টা করা হবে শহরে যুবককে ছুরিকাঘাত বন্যায় হবিগঞ্জে ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬টি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ ॥ মেরামত করতে খরচ হবে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ কার্যালয়ে তালা বানিয়াচঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ॥ ভাইয়ের হাতে ভাই খুন জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে জিকে গউছ ॥ শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানের যোগদান চুনারুঘাটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ দাঙ্গাবাজ কারাগারে নুরপুরে ত্রাণ বিতরণকালে জিকে গউছ ॥ যারা অন্যের সম্পদ লুন্ঠন করে তারা দুস্কৃতিকারী, তারা সন্ত্রাসী নবীগঞ্জে যুবক খুন

চুনারুঘাটে ২৩ টি চা বাগানে ২ দিনের স্বেচ্ছা ছুটি

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০
  • ২৬৩ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা আতংকে চুনারুঘাটে ২৩টি চা বাগানের প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক স্বেচ্ছায় ২ দিনের ছুটিতে গিয়েছেন। চুনারুঘাটের লস্করপুর ভ্যালির শ্রমিক নেতারা সেই ছুটি ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার ও বুধবার চা শ্রমিকরা সেই‘আনলিভ’ ছুটি ভোগ করবেন। চা শ্রমিকরা বছরে ১৪ দিন আনলিভ ছুটি ভোগ করে থাকেন। সেই ছুটি থেকে ২ দিনের ছুটি কর্তন হবে জানান শ্রমিক নেতারা। বাগানের সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে করোনা আতংক দেখা দেয়ায় তারা বাগানের সমুদয় কাজ বন্ধ রাখার দাবী জানিয়ে আসছিলো কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ উপর মহলের নির্দেশ না থাকায় বাগান সচল রাখার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এ নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে শ্রমিক নেতাদের কয়েক দফা বৈঠক হয় কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ উপরের মহলের সিদ্ধান্ত ছাড়া বাগানের কাজ কাম বন্ধ রাখার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এরই প্রেক্ষিতে সোমাবার শ্রমিক নেতাদের এক জরুরী বৈঠক হয় এতে মঙ্গলবার থেকে বুধবার বাগানে স্বেচ্ছা ছুটি ঘোষনা করা হয়। শ্রমিক নেতা,ইউপি সদস্য মাখন গোস্বামী বলেন, বাগান শ্রমিকরা সকাল ৭ টা থেকে বিকাল ৫ টা অব্দি কাজ করে চলেছে। কারখানাগুলোতেও চলছে কাজ। চুনারুঘাট উপজেলায় ডানকান ব্রাদার্স,ন্যাশনাল টি কোম্পানী ও ব্যক্তিমালাকাধীন চা বাগানের সংখ্যা ২৩টি। এতে নিয়মিত শ্রমিক রয়েছেন ৩৫ হাজার। তাদের পোষ্যসহ সাধারন শ্রমিক রয়েছেন দেড় লাখের উপরে। ওই শ্রমিকরা এক সাথে দল বেঁধে কাজে যায়। তিনি বলেন, ঘরে ফিরে এসে পরিবারের শিশুদের সাথে মেলা মেশা করে, রান্না-বান্না করে তারা। বার বার হাত ধোয়ার রেওয়াজও চালু হয়নি বাগানগুলোতে। চা বাগানগুলোতে করোনা সতর্কতা এখনো জারি করা হয়নি। চা বাগানে স্বাস্থ্য কর্মীসহ জনপ্রতিনিধিরা এখনো শুরু করেননি করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে কোন কাজ। বাগানের অলিগলিতে গড়ে উঠা বিভিন্ন পন্যের দোকান-পাট গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। পাড়া- মহল্লার মদের দোকান গুলোও উন্মুক্ত। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় বলেন, চা বাগান বন্ধ করার কোন নির্দেশনা এখনো আসেনি তবে শ্রমিকদের মাঝে করোনা সর্তকতা বাড়ানোর কাজ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com