বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

১টি মোবাইলের জন্য শিশু ইসমাইলকে হত্যা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৩৮৪ বার পঠিত

ঘাতকের দায় স্বীকার হাতপা বেধে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে মোবাইলটি নিয়ে যায়।

নুর উদ্দিন সুমন : হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর তেঘরিয়া গ্রামের স্কুল ছাত্র ইসমাইল হোসেন বিদয়(১০) হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তাকে একটি মোবাইলের জন্য হত্যা করে ঘাতক সাইমিন। এ মামলার অন্যতম আসামী হত্যাকান্ডের মূলহোতা স্কুল ছাত্র শাহরিয়ার মারুফ সাইমিন (১৫) দ্বায় স্বীকার করে বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
সন্ধ্যা ৭ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ পিপিএম, বিপিএম। ঘাতকের জবানবন্দীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, নিহত বিদয়ের পিতা সৌদি প্রবাসী ফারুক মিয়া ২২ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন তার সন্তানকে দিলে ওই মোবাইলের উপর লোভ হয় ঘাতক সাইমিনের। মোবাইলটি আত্মসাত করতে নানা কৌশল অবলম্বন করতে থাকে সে। কোন উপায় না পেয়ে নাটক তৈরির অযুহাতে ১০ জানুয়ারী বিকেলে নিহত বিদয়কে নিয়ে যায়। হবিগঞ্জ উপজেলার লস্করপুর চরহামুয়া খোয়াই নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে হাতপা বেধে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে মোবাইলটি নিয়ে যায়। ১৩ জানুয়ারী সকালে স্থানীয় লোকজন বিদয়ের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী, ওসি (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদসহ একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে।

শিশু ইসমাইলের ফাইল ছবি

ওইদিন রাতেই একই গ্রামের মুরগী ব্যবসায়ী আব্দুস শহিদ ওরফে কদর আলীর পুত্র জেকেএন্ডএইচকে হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সাইমিনকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়াও আরও ১০/১৫ জন নারী পুরুষকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের সন্দেহ হয় এ হত্যার সাথে সাইমিন জড়িত। তিনি নিবিড়ভাবে তাকে ২ দিন জিঞ্জাসাবাদ করে এ রহস্য উদঘাটন করেন। ইতিমধ্যে ঘাতকের মা, বাবা ও আত্মীয় স্বজন ঘর তালাবন্ধ করে আত্মগোপন করেছে। তাদেরকে আটক করলে এ ঘটনার আরও রহস্য উদঘাটন করা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত মোবাইলটি উদ্ধার করা যায়নি। মোবাইলটি উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে নিহতের চাচা মৃত জহুর আলীর পুত্র টেনু মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, ওসি মোঃ মাসুক আলী, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আল-আমিনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com