নুর উদ্দিন সুমন: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে আসা কিশোরীকে ছিনিয়ে নিয়ে ৬ জন মিলে গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে হাজির করলে আসামী মানিক মিয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে এ কথা জানায়। মানিক উপজেলার রমতাবাদ ষাড়েরকোনা গ্রামের ছিদ্দিক আলীর ছেলে। এর আগে এ ঘটনায় আটককৃত রুবেল মিয়া (২৪), তার বন্ধু মানিক মিয়া(৩০) ও তিন সন্তানের জনক হারিছ(৩৫)কে এ আদালতে হাজির করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। এ সময় মানিকসহ তিনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ওসি(তদন্ত) চম্পক দাম বলেন, এ ব্যাপারে কিশোরী বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় আটককৃত তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে কিশোরীকে তার পিতার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তার পরিবার। মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার পড়ালেখাও বন্ধ রয়েছে। কিশোরীকে পাশবিক নির্যাতনকারী সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার বাবা-মা ও এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, বুধবার জেলার মাধবপুর লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তার প্রেমিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রানিদিয়ার গ্রামের হাকিমুল হাসান সাকিবের সঙ্গে সাতছড়ি উদ্যানে বেড়াতে এসেছিলেন। এ সময়ে আটকৃতরা প্রেমিক সাকিবকের হাতপা বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করে। পরে দুপুরে সাতছড়ির বিট অফিসার সামসুদ্দিন ও ফরেস্ট গার্ড ছাদেকুর রহমান, এফজি জহিরুল ইসলাম এবং পার্ক সুপারভাইজার আবুল হোসেন মিলে এ কিশোরীকে উদ্ধার করে। এবং তিনজনকে আটক করে চুনারুঘাট থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
Leave a Reply