হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের আশার আলো, স্বপ্নের ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে’ ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে কাঁপছে গোটা জেলা। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের যোগসাজসে প্রায় ১৫ কোটি টাকার টেন্ডারের অর্ধেক টাকাই হয়েছে ভাগ-বাটোয়ারা। নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অনিয়মের বিষয় নিয়ে। দাবি উঠেছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে আইনের মূখোমুখি করে ব্যবস্থা নেয়ার। ইতোমধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন জেলার সচেতন নাগরিকরা।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দূর্নীতির বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হবিগঞ্জ কার্যালয়ের একটি টিম। গতকাল দিনব্যাপী তাঁরা পুরো মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন এবং প্রতিটি ক্রয়কৃত জিনিসের উপর তদন্তকরেন। তবে এই মুহুর্তে তদন্তের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নন দুদক কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এরশাদ মিয়া বলেন, ‘দুদকের তদন্ত সবেমাত্র শুরু হয়েছে। পুরোপুরি তদন্ত শেষ করে এ বিষয়ে জানা হবে।
এরআগে গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের যুগ্ম সচিব (নির্মাণ ও মেরামত অধিশাখা) মো. আজম খানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ৯৭ হাজার ৭শ’ ৪৮ টাকা। মালামাল ক্রয় বাবত ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১শ’ ৯ টাকা উত্তোলন করে নেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাগুলো। কিন্তু যে সরঞ্জাম ক্রয় করা হয় বাস্তবে সেগুলোর বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকার বেশি নয় বলে দাবি করেন দরপত্র প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা। সেই হিসেবে বাঁকি প্রায় ৭ কোটি টাকার পুরোটাই হয় ভাগ-বাটোয়ারা। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রচার করলে নড়েচড়ে বসে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
Leave a Reply