মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হবিগঞ্জে উপদেষ্টা ফরুক ই আজম বীর প্রতীক ॥ সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা যাতে সম্মানিত হন সে চেষ্টা করা হবে শহরে যুবককে ছুরিকাঘাত বন্যায় হবিগঞ্জে ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬টি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ ॥ মেরামত করতে খরচ হবে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ কার্যালয়ে তালা বানিয়াচঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ॥ ভাইয়ের হাতে ভাই খুন জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে জিকে গউছ ॥ শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানের যোগদান চুনারুঘাটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ দাঙ্গাবাজ কারাগারে নুরপুরে ত্রাণ বিতরণকালে জিকে গউছ ॥ যারা অন্যের সম্পদ লুন্ঠন করে তারা দুস্কৃতিকারী, তারা সন্ত্রাসী নবীগঞ্জে যুবক খুন

অসহায়দের চিকিৎসা সেবা দিতে বাংলাদেশে এসেছেন মার্কিন দম্পতি জেসিন-মেরিন্ডি

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩১৯ বার পঠিত

নিউজ ডেস্ক।। টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কালিয়াকুড়ি গ্রামবাসীর কাছে ‘ডাক্তার ভাই’ নামে পরিচিত ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ডাক্তার এড্রিক বেকার। টানা ৩২ বছর তিনি ওই এলাকার দরিদ্র রোগিদের সেবা দিয়ে ২০১৫ সালে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। গরীবদের প্রিয় এই ডাক্তারকে হারিয়ে হাসপাতালটির কার্যক্রমেও বড় প্রভাব ফেলে। প্রয়োজন ছিল ডাক্তার ভাইয়ের মতো একজন পরিচালকের।

এদিকে গত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ডাক্তার ভাই নিজেই এমন একটি আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি ডাক্তাদের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারপর কী হলো? বাংলাদেশের কোনো ডাক্তার কি শুনেছেন এড্রিক বেকারের সেই আহ্বান?

এদিকে ৫ বছর আগে হানিফ সংকেতের উপস্থাপনায় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ইত্যাদির মঞ্চে এসে বৃদ্ধ ডাক্তার এড্রিক বেকার বলেছিলেন, বাংলাদেশি কোনো ডাক্তার যাতে হাসপাতালটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের নাগরীকত্ব পাওয়া এড্রিক পরিস্কার বাংলায় বলেছিলেন, ‘এদেশের মেডিক্যাল কলেজে অনেক মেধাবী ছাত্র আছে। আমি বলব, আপনারা গ্রামকে ভুলে যাবেন না। গরীব মানুষকে ভুলে যাবেন না। গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করবেন।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের কোনো ডাক্তার এড্রিক বেকারের ডাকে সাড়া দেননি! ডাক্তার হয়ে গরীব মানুষের সেবার জন্য কেউ ফিরে যাননি গ্রামে। তাই বলে কিন্তু থেমে নেই ডাক্তার বেকারের সেই হাসপাতাল।

এদিকে বাংলাদেশি কোনো ডাক্তার সাড়া না দিলেও এড্রিক বেকারের আহ্বান শুনতে পেয়েছিলেন সুদূর আমেরিকায় বসবাসরত ডাক্তার দম্পতি জেসিন-মেরিন্ডি। ডাক্তার বেকারের যখন শেষ সময়, তখন তরুণ এই দম্পতির সন্তানগুলো বেশ ছোট ছোট ছিল। যে কারণে তাদের নিয়ে বাইরে যাওয়াটা ছিল প্রায় অসম্ভব। জেসিন-মেরিন্ডি দম্পতি তাই সময়ের অপেক্ষা করেন।

অবশেষে গত বছর চার সন্তান নিয়ে তারা চলে আসেন মধুপুরের সেই হাসপাতালে। এসেই প্রথমে শুরু করেন বাংলা ভাষা শেখা এবং বাঙালি খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি। নিজেরা তো বটেই, সন্তানদেরকেও বাঙালি খাবারে অভ্যস্ত করিয়ে ফেলেছেন জেসিন-মেরিন্ডি। গতকাল শুক্রবারের ইত্যাদির সৌজন্য এই কাহিনী এখন ভাইরাল।

এদিকে আমাদের দেশের ডাক্তাররা সরকারি চাকরি পেয়েও গ্রামে যেতে চান না। গ্রাম-মফস্বঃলের হাসপাতালগুলো ডাক্তারশূন্য থাকে। বিসিএস নিয়োগের পর শুরু হয় শহরে থাকার তদবির। তারা চান শহরে আধুনিক জীবন। অথচ, বাংলাদেশের চেয়ে একশগুণ উন্নত দেশ আমেরিকার একশগুণ উন্নত জীবন ছেড়ে, স্রেফ মানবসেবার জন্য বাংলাদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে চলে এসেছেন জেসিন-মেরিন্ডি।

তাছাড়া সারাজীবনই তারা গরীব মানুষের সেবা করে যেতে চান। যে কারণে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন সন্তানদের। তারা আর দশটা বাংলাদেশি শিশুর মতোই বেড়ে উঠছে, বাংলা শিখছে। তবে সন্তান ইংরেজি না শিখলে বাংলাদেশি বাবা-মায়ের যেমন সম্মান যায়, সন্তানরা বাংলা শেখায় জেসিন-মেরিন্ডি কিন্তু মোটেও অসম্মানিত বোধ করছেন না।

বাংলাদেশের কিছু জ্ঞানীগুণী জন বলেছেন,আমেরিকার জেসিন-মেরিন্ডি ডাক্তার দম্পতিকে বাংলাদেশের ডাক্তাররা যদি ফলো করে তাহলে বাংলাদেশের কোন রোগী-ই চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবেনা,এমনই ধারনা তাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com