স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ-সৈয়দপুর সড়কের কাকুড়া গ্রামের নিকটে কাভার্ডভ্যান ও সিএনজি (অটোরিক্সা) সংঘর্ষে রিজা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরী ঘটনা স্থলেই নিহত হয়েছে। নিহত রিজা আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার কন্যা। আহত হয়েছেন তাঁর মা, বাবা ভাই, বোনসহ একই পরিবারে ৬ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত রিজার ছোট বোন শিলা আক্তার (৮) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহতরা হলেন, নিহতের বাবা ফরিদ মিয়া (৫০), মা-সাহিনা আক্তার (৩৭), ছোট ২ ভাই মুহিদুল ইসলাম (৩), সাহেদুল ইসলাম (১) ও বোন সাবিনা আক্তার (৫)। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত ফরিদ জানান, তিনি সিলেট ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারীতে কাজ করেন। সেই সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে ভোলাগঞ্জ থাকেন। গত সোমবার সকালে আজমিরীগঞ্জ নিজ বাড়ী থেকে স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে সিলেট ভোলাগঞ্জ যাবার জন্য ইনাতগঞ্জ বাজারে এসে একটি সিএনজিতে স্বপরিবারের উঠেন। বিকালের দিকে সিএনজিটি উল্লেখিত স্থানে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাণ কোম্পানীর একটি কাভার্ড ভ্যান গাড়ি সিএনজিকে চাপা দিলে সিএনজিটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করেন এবং দূর্ঘটনা স্থলেই রিজার মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন কাভার্ড ভ্যানের চালক সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার গোজারখলা গ্রামের মিলন মিয়ার পুত্র ফজু মিয়া (৩৫) ও হেলপার সিলেট জালালাবাদ থানার মইয়ারচর গ্রামের মজবিল আলীর পুত্র টিপু সুলতানকে আটক করে কাকুড়া গ্রামের দিলাল মিয়ার বাড়ীতে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে কাভার্ডভ্যানসহ দুইজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সজলু মিয়া জানান, দূর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন চালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই এমরান হোসেন জানান, কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি দূর্ঘটনায় রিজা আক্তার ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে একই পরিবারের ৬ জন। কাভার্ডভ্যানসহ চালক ফজু মিয়া ও হেলপার টিপু সুলতানকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply