নুর উদ্দিন সুমন: জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা পাহাড়ে লাল কেয়ার এলাকায় অবৈধ দখলে থাকা কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। ২৭ মে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) স ম আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, কামাল মিয়া ও আলফি মিয়া নামে দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি বন উজার করে এ জমি দখল করেন। তারা দখলকৃত জমিতে লেবু, কাঁঠাল, কাঠের গাছ ও ঘর তৈরী করে। ১৫টি পরিবারের কাছে ঘর ভাড়া দিয়ে তারা প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ও ফল বিক্রি করে ৫০ হাজার হাতিয়ে নেয়।
এভাবে বছরের পর বছর ধরে তারা সরকারী খাস জমি থেকে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া এখানে রাতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করে সরকারী কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করেছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, এই জরিপের মাধ্যমে লাল কেয়ারে পাহাড়ের লাল কেয়ার মৌজায় কি পরিমাণ সরকারি খাস জমি বেদখল রয়েছে ও বর্তমানে কারা কারা এসব জমির দখলে আছেন তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হয়। পর্যায়ক্রমে সরকারী জমি উদ্ধার করা হবে। সরকারী জমিতে বসবাস করতে হলে বন্দোবস্ত নিতে হয়। কামাল মিয়া ও আলফি মিয়ার দখলকৃত জমি উদ্ধার হয়েছে। তবে ঘর উচ্ছেদ করা হয়নি। সরকারী নিয়মনীতিতে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ঘরে বসবাসকারী বলেন, আমাদের কোন জমিজমা নেই। তাই স্বাধীনতার পর থেকেই এখানে বসবাস করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ইকবাল বলেন, ‘সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা আমাদের নিয়মিত রুটিন কাজের অংশ। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত ভাবে খাস জমি চিহ্নিত করে থাকেন। জেলার প্রতিটি রাজস্ব সভায় এসি ল্যান্ডকে জানাতে হয় কতটুকু খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জমি কিনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে, শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরকারি খাস জমিতে বসবাসরত কোনো পরিবারকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হবে না। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। সরকারী খাস জমি উদ্ধারে সহযোগীতা করেন সার্ভেয়ার মনির হোসেন,চুনারুঘাট থানার এসআই হেলাল উদ্দিনসহ একদল পুলিশ।
Leave a Reply