নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিহঞ্জ ॥ দৈনিক জনকন্ঠের হবিগঞ্জ সংবাদদাতা রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন হত্যা চেষ্টা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি তাছলিম আলম মেহেদীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে জেলার বানিয়াচঙ্গ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নিজ বাড়ী থেকে ওয়ারেন্টমূলে মেহেদীকে গ্রেফতার করে সংশ্লিস্ট থানা পুলিশের একটি বিশেষ টীম এবং একই দিন দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ শাহিনুর আক্তারের আদালতে তাকে সোর্পদ করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক কাস্টরী ওয়ারেন্ট মূলে শিবির নেতা মেহেদীকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ‘শিবির কর্মী ধর্ষণ করেছে এক তরুনীকে’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ বিগত ২০০৩ সালে দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশ হবার জের ধরে প্রথমে তৎকালীন জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মীর নুরুন্নবী উজ্জ্বল কর্তৃক টেলিফোনে সাংবাদিক তুহিনের ওপর এক সপ্তাহের মধ্যে হামলা ও হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়। এমতাবস্থায় বেঁধে দেয়ার সময়সীমার মধ্যেই মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিগত ২০০৩ সালের ১ মার্চ রাতে শহরের শংকর বস্ত্রালয় সন্নিকটে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিক তুৃহিনের ওপর হামলা চালায় মীর নুরুন্নবী উজ্জ্বল, এম এ মজিদ ও জমীলুন্নবী ফয়সলের নের্তৃত্বে সংশ্লিস্ট এজহারভূক্ত সকল আসামিগণ। এতে সাংবাদিক তুহিন গুরুতর আহত হয়ে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েন। এসময় সাংবাদিক তুহিনের ব্যবহিৃত মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করা সহ টাকা-পয়সা, জরুরী কাগজপত্র ও মোবাইল নিয়ে যায় শিবির ক্যডারা। পরবর্তীতে তুহিন সুস্থ হয়ে উন্নত চিকিৎসাও নেন এবং উপরোক্ত ৩ জন সহ সর্বমোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলাটির চার্জশীটও প্রদান করে। দীর্ঘ ১৬ বছরের মাথায় এসে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তানিয়া কামালের আদালতে এমও এবং আইও সহ মামলাটির স্বাক্ষী ক্লোজড করা হয় এবং যুক্তিতর্কে যাবার আগে আসামী পরিক্ষার জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারন করেন আদালত।
Leave a Reply