আজিজুল হক নাসীর ঃ চুনারুঘাট সীমান্ত জুড়ে চলছে বিজিবি’র কড়া টহল। সীমান্তের ধার কাছে কাউকে ঘেঁষতে দেয়া হ”েছ না। বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে সীমান্ত রক্ষী বিজিবি মাদক চোরাচালানীর বিরুদ্ধে গ্রহন করেছে বিশেষ পদক্ষেপ। সীমান্তে শক্তিশালী সোর্স নিয়োগ দেয়ায় ইতোমধ্যে মাদকের গডফাদারসহ নানান পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়েছে। এ কারনে সীমান্তে মাদক চোরাচালান আশানুরূপ ভাবে হ্রাস পেয়েছে। চিমটিবিল সীমান্ত ফাড়ির আধিকারিক হাবিব জানান, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিজিবি জোয়ানরা আভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার চোরাচালানী পন্য আটক করেছে। আটক চোরাচালানী পন্যের মধ্যে চা পাতা,গাঁজা, মদ, চশমাসহ মোটরসাইকেল রয়েছে। এদিকে বাল্লা ও গুইবিল সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকার চোরাচালানী পন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান বাল্লা ক্যাম্পের আধিকারিক দেলোয়ার। তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত ১৬ টি মামলা করা হয়েছে চোরাচালারীদের নামে। এর মধ্যে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে মাদকের। দুইজন চিহ্নিত আসামীকে মাদকসহ ধৃত করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
সীমান্ত সুত্র জানান, চুনারুঘাটের বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে নানা ফাঁক ফোকরে চোরাচালান হয়। ২০০৫ সালে ভারত সরকার সীমান্ত এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া নির্মান করার পর চোরাচালান বহুলাংশে হ্রাস পায় কিন্তু কিছু চোর কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বি”িছন্ন অব¯’ায় কিছু চোরাচালানী পন্য নিয়ে আসে। বিজিবি জানায়, সীমান্তরক্ষী’র চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু সন্ত্রাসী সীমান্তে চোরাচালান ব্যবসা করার অপচেষ্টা চালায়। এদের সংখ্যা হাতে গুনা। বিজিবি’র এক কর্মকর্তা বলেন, সীমান্তে চোরাচালানকে শুন্যের কোটায় নিয়ে আসতে বিজিবি জোয়ানরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তবে চুনারুঘাট সীমান্তগুলো চা বাগান ও পাহাড় ঘেরা থাকায় বিজিবি’র টহল প্রায় সময়ই মশৃন হয়না। আর এ সযোগটাই কাজে লাগায় কিছু চোরাচালানী।
Leave a Reply