শাহ মোহাম্মদ দুলাল বাহুবল॥ হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার সদরের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক বাহুবল-চলিতাতলা রাস্তা। এ রাস্তার দীননাথ ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন করাঙ্গী সেতুটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ঝুঁকি মাথায় নিয়েই প্রতিদিন চলছে কয়েক’ শতাধিক যানবাহন। চলছে ছাত্রছাত্রীসহ সহস্রাধিক পথচারী। ভারি কোন যানবাহন উঠামাত্রই সেতুটিতে কম্পন শুরু হয়।পথচারীদের ভাবনা যে কোন মুহূর্তে ব্রীজটি ধসে পড়বে, এমনি ধারণা স্থানীয় লোকজনের।
সরেজমিনে দেখা যায়,বাহুবল বাজারের উত্তরপ্রান্তে করাঙ্গী নদীর উপর ব্রিটিশ শাষনামলে প্রায় এক শত বছর পূর্বে নির্মিত হয় ব্রীজটি, জনসাধারণের তুলনায় করাঙ্গী ব্রিজ টি ছোট। ফলে এক প্রান্ত থেকে একটি বাস বা মালবাহী ট্রাক উঠলে ব্রীজে আর কোন পথচারী উঠতে পারেন না।
যার ফলে ওই কভারভ্যান বা বাস ব্রীজটিকে অতিক্রম করার আগ পর্যন্ত অপরপ্রান্তের যানবাহন ও পথচারীদের অপেক্ষায় থাকতে হয়।
এতে ব্রীজের উভয় প্রান্তের ব্যস্ততম বাহুবল বাজার ও হামিদনগর বাণিজ্যিক এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। বাড়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।
ব্রীজটির নিচের দিকে বটগাছ সহ অন্যান্য আগাছা জন্মে আছে। এসব কিছু জমায়েত থাকার কারণে নদীর পানি নিস্কাষনে ব্যাঘাত ঘটে আসছে।
ফলে পানি আটকে ব্রীজের ধারণ ক্ষমতা নষ্ট করছে।
এছাড়া ব্রীজের উপরে পিচ উঠে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হওয়ায়,পানি নিস্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় এতে পানি জমে ব্রীজের ক্ষমতা বিনষ্ট করছে।
এছাড়া ও ব্রীজের বিভিন্ন অংশে যানবাহনের ধাক্কায় রেলিং-এর অংশবিশেষ ভেঙে গেছে।
দীর্ঘ দিনের পূরনো ব্রিজ টি সংস্কারের জন্য বাহুবলে যেন দেখার কেউ নেই!!
জরাজীর্ন সব কিছু মিলিয়ে ব্রীজটিকে দেখলে মনে হয়, পরিত্যাক্ত। কিন্ত এ ব্রীজ দিয়েই রাতদিন ২৪ ঘন্টা শত শত যানবাহন পথচারী চলাচল করছে।
গনযোগাযোগ ও যানবাহন চলাচলের
জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজটি ভেঙে সম্প্রসারিত নতুন ব্রীজ নির্মাণ- স্থানীয় বাহুবল উপজেলা বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি।
Leave a Reply