সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম নাছিম রেজা এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন-উপজেলার জলসুখা শংকমোহন গ্রামের সফর আলীর ছেলে মোশাহিদ মিয়া, সামছুল হকের ছেলে মোহন মিয়া, বাগহাটি গ্রামের আলম মৌলার ছেলে জিয়াউর রহমান, আটপাড়া গ্রামের রহমান উল্লাহর ছেলে ওয়াহাব উল্লাহ, মধ্যপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে চান মিয়া ও মির্কা গ্রামের বিনন মিয়ার ছেলে দিলু মিয়া। রায়ের সময়ে মোশাহিদ মিয়া ও জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিল। বাকী চার আসামি পলাতক রয়েছেন।
হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর আল আমিন হোসেন বলেন, উপজেলার জলসুখা শংকরমোহন গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে কৃষক তোতন মিয়া আসামি মোশাহিদ মিয়ার জলমহালে বাবুর্চির কাজ করতেন। তাদের মধ্যে বিরোধ থাকায় ২০০৫ সালের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় তোতনকে ডেকে নিয়ে জলমহালের পাশের ক্ষেতে জবাই করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা আক্তার বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে তৎকালীন আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি শ্যামল কান্তি বড়ুয়া ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ ২০ জনকেই আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২৬ স্বাক্ষীর মধ্যে ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেয়া হয়। এতে ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও অপরাধে সম্পৃক্ততা না থাকায় বাকীদের খালাস দেয়া হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডডেভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক বলেন, রায়ে বাদী পক্ষ খুশি হয়েছে। তবে কয়েকজন আসামি খালাস পাওয়ায় কিছুটা হতাশ। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নিবেন।
Leave a Reply