স্টাফ রিপোর্টার // চুনারুঘাট উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জাল খাজনা রশিদ জমা দিয়ে দলিল নিবন্ধন করতে গিয়ে ধরাশায়ী হয়েছেন দুই দলিল লেখক। এ ঘটনায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দলিল লেখক নূহ মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের মমিনা খাতুনের জমি বিক্রির দলিল নিবন্ধনের জন্য জাল খাজনা রশিদ জমা দেন। রশিদে ৬৩৯ দাগ নম্বর এডিট করে ৫১৬ বানানো হয়। একই পদ্ধতিতে আছকিরার বিক্রেতা জমি গ্রহিতা সুমন মিয়ার ১৮৩ নং সনদে দলিল লেখক শেখ সাহিদ খাজনার রশিদে ঘষামাজা করে জমি বিক্রির খাজনা রশিদ জমা দেন। সাব-রেজিস্টার খালেদা সিথি বিষয়টি শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করেন এবং ১০ দিনের জন্য মৌখিকভাবে বরখাস্ত করেন।
তবে অভিযুক্ত দলিল লেখকদের দাবি, ‘অপরাধ তারা করেননি; বিক্রেতারা কাগজপত্র তাদেরকে দিয়েছেন এবং ওই কাগজপত্র দিয়ে তারাও তথ্য গোপন রেখে নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন, যা হয়নি। সাব-রেজিস্টারের বিচক্ষণতায় ধরা পড়েন দুজন। এদিকে, তারা অপরাধের দায় চাপাতে চেয়েছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপর। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দলিল লেখকরা দায়িত্বশীল পদে থেকেও যাচাই-বাছাই না করে জাল কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, যা ক্ষমার অযোগ্য। তারা বলেন, “যদি দলিল লেখকরা এভাবে জালিয়াতি করে, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?” তাদের দাবি, অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।চুনারুঘাটের সাব-রেজিস্টার খালেদা সিথি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে দুজনকে ১০ দিনের জন্য মৌখিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
Leave a Reply