এম এইচ টিপু ফরাজি, চুনারুঘাট : চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রামে শ্বশুড়, শাশুড়ী ও দেবর মিলে অমানবিক নির্যাতন করার পর কুপিয়ে জখম করেছে তানহা জান্নাত সুমা (৩০) নামে এক গৃহবধূকে৷ পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলার শিকার গৃহবধূকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: সাঈদ ইমরান জানান, রক্তাক্ত ধারালো অস্ত্রে আঘাতে শুক্রবার দুপুরে ওই গৃহবধূ ভর্তি হয়েছেন। তার বাম হাত ভেঙেছে এবং মাথায় ৯টি সেলাই দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। গৃহবধূ মিরাশি ইউনিয়ের আলোনিয়া গ্রামের মোশাহিদ মিয়ার স্ত্রী ও একই এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে । জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর সকালে ওই গৃহবধূর বাচ্চাকে শাসন করা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় দেবর মুজাহিদের সঙ্গে ৷ একপর্যায়ে শশুর, শাশুড়ী ও দেবর অমানবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের শিকার সুমা বেগম বলেন, আমার বড় মেয়ে
হাফিজা জান্নাত আখি আমার কাজে সহযোগিতা করার জন্য ডাকছিলাম। দেরিতে আসায় একটু শাসন করি। এঘটনার জেরে প্রথমে আমার শশুর শাশুড়ী মারধর শুরু করেন ৷ পরে আমার দেবর মুজাহিদ মারধর শুরু করে৷ এক পর্যায়ে আত্নরক্ষার্থে ঘরে ঢুকলে ঘরে প্রবেশ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়। পরে তার আত্নীয় স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে গিয়ে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান৷ সে এখন চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন৷ আহত গৃহবধূর মা নাছিমা খাতুন জানান, আমার মেয়েকে ১৩ বছর পূর্বে আলোনিয়া গ্রামের ছাবু মিয়ার পুত্র মোশাহিদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেই। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বিয়ের কিছু দিন ভাল অতিবাহিত হলেও ইদানীং তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শশুর শাড়ি দেবরের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে আমার মেয়ে সুমা। তার শশুড়, শাশুড়ি ও দেবর দীর্ঘদিন ধরে মুজাহিদ মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। তিনি আরও বলেন, তিনটি সন্তানের কথা চিন্তা করে নিরবে নির্যাতন সহ্য করেছে আমার মেয়ে । আমার মেয়েকে হত্যার জন্য অমানুষিক নির্যাতন করেছে আমি এর বিচার চাই। এঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, গৃহবধূ তানহা জান্নাত সুমা মারধরের ঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। এবিষয়ে সুমার স্বামী মোশাহিদ মিয়া জানায় আমি বাড়িতে ছিলামনা কি কারণে ঘটনা আমার জানা নেই।
Leave a Reply