এস আর সুজন : হবিগঞ্জ-৪ আসনের এমপি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা হবে চুনারুঘাট- মাধবপুর। যেখানে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন রেমা-কালেঙ্গা। ৬১ কিলোমিটার সীমান্ত বেষ্টিত দু উপজেলায় সম্ভাবনাময় অবস্থান রয়েছে হাজার হাজার একর সরকারী পতিত জমি। সঠিক সিদ্ধান্ত ও সরকারের যুগপোযোগী পদক্ষেপই হতে পারে পর্যটন এলাকার ঘোষনার অন্যতম উপায়। চুনারুঘাট উপজেলায় রয়েছে ১৩টি ও মাধবপুর উপজেলায় ৫টি নিয়ে মোট ১৮টি চা-বাগান সুন্দর্য বর্ধনে পাখা মেলে রেখেছে । তাছাড়া সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, বাল্লা স্থলবন্দর, দমদমিয়া লেক, পানছড়ি ইকো রিসোর্ট, রাবার বাগান, মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতি বিজরিত তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ, চুনারুঘাট উপজেলায় খোয়াই নদী, করাঙ্গী নদী, সুতাং নদী, মাধবপুর উপজেলায় সোনাই নদী, বোয়ালিয়া নদীসহ অসংখ্য ছড়ায় বেয়ে গেছে গ্রাম গ্রামান্তর। তিনি বলেন, চুনারুঘাটে মরা খোয়াই নদীকে পর্যটনে রূপান্তর, সাতছড়ি ও রেমা কালেঙ্গাকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা, চুনারুঘাট পৌরসভার সড়ক প্রশস্তকরণ, চুনারুঘাট উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরি এবং চুনারুঘাট-মাধবপুরকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণাও দেন। পাশাপাশি চুনারুঘাট ও মাধবপুরের বেকার তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের জন্য টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ঘোষণা, প্রবাসীদের বিদেশ গমন সহজ করাসহ ১০টি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ।
এছাড়াও গতবছর তিনি ৩৬ হাজার আমের চারা বিতরন করেছেন। আগামী বছর ১লাখ আমের চারা বিতরন করবেন। সুন্দর্যবর্ধনে চুনারুঘাট মরা খোয়াই নদী সংস্কার জীবিত করনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চুনারুঘাট মাধবপুর উপজেলার ছোট বড় সকল ছড়া খাল বিল নদীর উদ্ধার ও খনন করবেন। রেমা কালেঙ্গা অভয়ারন্যে দেশ ও বিদেশের পর্যটক এসে রাত্রী যাপন করবেন। শীঘ্রই এসব প্রকল্প গ্রহন করবেন। চা-বাগান সহ বনের ভিতর ছোট বড় লেক এ আসা যাওয়া রাস্তা প্রশস্ত করন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবেন। তাছাড়া ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক শায়েস্তাগঞ্জ হইতে জগদিশপুর রাস্তা বর্ধিত করনে অগ্রনি ভূমিকা রাখবেন। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন, জনগন আমাকে যেভাবে ভালবেসেছে রক্ত দিয়ে হলেও সেই প্রতিদান দিব। চুনারুঘাট-মাধবপুরকে পর্যটন এলাকা ও উন্নয়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে যেভাবে লড়তে হয় লড়ে যাব।
Leave a Reply