স্টাফ রির্পোটারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনের প্রায় ৯ মাস পর জুম্মা নামাজ আদায় করেছে মুসল্লীগণ। বিভিন্ন অনিয়ম থাকায় এ মডেল মসজিদটি হস্তান্তর করা হয়নি, দীর্ঘ অপেক্ষায় শুক্রবার (২০ অক্টোবর) প্রথম জুম্মার নামাজে অংশ নেন মুসল্লীরা। নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নামাজ আদায় শেষে অনেক মুসল্লীকে সেলফি ও ছবি তুলতে দেখা গেছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নামাজে ইমামতি করেন মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান। খুতবার আগে নবনির্মিত এ মডেল মসজিদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী প্রমুখ। পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ মসজিদে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে প্রথম জুম্মার নামাজ আদায় হয়। এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হবে এখানে। হবিগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আরব বিশ্বের মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের আদলে নির্মিত এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে থাকছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে নারী-পুরুষের আলাদা অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা। লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষাকেন্দ্র ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, ‘জুম্মার নামাজের মধ্য দিয়ে চুনারুঘাট মডেল মসজিদের জটিলতা অবসান, এখন থেকে মডেল মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হবে। তিনি দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত চুনারুঘাট মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। উল্লেখ্য যে, চুনারুঘাট পৌরসভার নয়ানী গ্রামে নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (বি-ক্যাটাগরি) ৪০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত। তিন তলাবিশিষ্ট মসজিদটির নিচতলার মেঝের আয়তন ১১ হাজার ৫০০ বর্গফুট, দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলার মেঝের আয়তন ৮০০ বর্গফুট। দৃষ্টিনন্দন ভবনের মোট আয়তন ২৭ হাজার ১০০ বর্গফুট। মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন ৮৫০ জন পুরুষ ও ৩০০ জন নারী মুসল্লি। বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
Leave a Reply