স্টাফ রিপোর্টার বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের বক্তারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্ণিংবডির সাবেক সভাপতি ইয়াওয়র মিয়াসহ কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাতসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে
গভর্ণিংবডির সাবেক সভাপতি, শিক্ষক ও কর্মচারিদের সতকীকরণ নোটিশ দিয়েছেন অধ্যক্ষ কামাল হোসেন।
লিখিত অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্র জাযায়, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে একজন সহকারি শিক্ষক ও ২ জন প্রভাষক নিয়োগে যোগসাজসে গভর্ণিংবডির সাবেক সভাপতি ইয়াওয়র মিয়া সিনিয়র শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাশ, হরিপদ দাশ, প্রভাষক মোশাররফ হোসেন তালুকদার, সাধন বর্মণ, সহকারি শিক্ষক আয়ুব আলী, অফিস সহকারি মোঃ কবির মিয়া, অফিস সহকারি আব্দুর রকিব ২০ লাখ নিয়োগ বাণিজ্য করেন।
অর্থের বিনিময়ে তাদের নিয়োগ প্রদান করা হলেও যোগদান অনুমোদন না করে এনটিআরসিএতে সহকারি শিক্ষক আয়ুব আলী কর্তৃক নিশ্চায়ন করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে মাসিক অনুদানও নেয়া হয়। শুধু তাই প্রতিষ্ঠানটি গভর্ণিংবডির সাবেক সভাপতি ইয়াওয়র মিয়ার নেতৃত্বে তার স্বজনরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তার স্বজনরা স্কুলে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এই চক্রটি প্রতিষ্ঠানের নান্দনিক ও আধুনিক ৫ম তলা ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করেন। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থেকে সভাপতির যোগসাজসে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের স্বার্থের পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থেকে এমপিও ভুক্ত হন। অথচ হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক অডিট করা হয়। উক্ত অডিটে দায়িত্ব পালন করেন অফিস সহকারি মোঃ কবির মিয়া। প্রতিষ্ঠানের নামকরণ ও ভূমি সংক্রান্ত সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করার কারণে ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয়নি মর্মে আপত্তি করা হয়। ওই অডিট অদ্যাবধি ওই অডিট রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে দায়িত্বশীলরা। ওই প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাত, দুর্নীতি, অনিয়ম, ভূমির মালিকখানাসহ নানাবিধ সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোক রানা। তিনি বলেন-সমস্যাগুলো সমাধানে শ্রীঘই উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply