শেখ জাহান রনি, মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জজেলার মাধবপুর উপজেলার মৌলানা আছাদ আলীডিগ্রী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়েরশিক্ষক। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলারত্রিবেনী গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়া ও মোছা. কুলসুমা বেগমের সন্তান মনোয়ার হোসেন মনু।ত্রিবেনী সরকারী প্রাথমিকবিদ্যালয় থেকে পঞ্চমশ্রেনী পাশ করেন। তারপর রামচন্দ্রপুর কিসমতআলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেভর্তি হন ঝিনাইদহ সরকারী কেসি কলেজে। তারপরশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটথেকে অনার্স (সম্মান) নিয়ে পড়াশুনা করেন।লেখাপড়া শেষ করে তিনি একটি কলেজে গেষ্ট টিচার্স(অতিথি শিক্ষক) হিসাবে কর্ম জীবন শুরু করেন।তারপর ২০১২ সালে তিনি মৌলানা আছাদ আলীডিগ্রী কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। ২০১৩ সালে আইসিটি ক্লাস শুরুকরেন। কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি গরীব ওঅসহায় শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে প্রাইভেট পড়ানোশুরু করেন। তিনি কমপক্ষে ৩০/৪০ জন শিক্ষার্থীকেবিনা বেতনে পড়ান। কিছু শিক্ষার্থী তাকে নাম মাত্রবেতন দেন। টিউশনির টাকা ও বেতনের টাকা দিয়েতিনি শুরু করেন সমাজ উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম। নিজের বেতনের টাকা দিয়ে সমাজে আলোর মশালজ্বালাচ্ছেন প্রভাষক মনোয়ার হোসেন মনু। করোনাভাইরাসে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষেরমাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা, বৃদ্ধাশ্রম করার জন্য ক্রয় করেছেন জমি। মেধাবিশিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, টাকার অভাবে কলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদেরসহযোগীতা, বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পড়ানো, সনাতন ধর্মের মেয়েদের বিবাহ কাজে সহযোগীতা, মসজিদ উন্নয়ন, কবরস্থান উন্নয়ন, ঈদগাহ মাঠউন্নয়ন নিরবে এ কাজগুলো করে যাচ্ছেন এইশিক্ষক। প্রভাষক মনোয়ার হোসেন মনু জানান, মানুষ ও সমাজের জন্য কিছু করা তার নেশা। কোনমানুষ ও শিক্ষার্থীদের উপকার করতে পারলে তারভাল লাগে। নিজ জন্মাস্থানের প্রতিও টান রয়েছেতার। তাই নিজ এলাকার উন্নয়ন করার জন্য তিনিসবর্দা চিন্তা করেন। নিজ গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুলপ্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রায় ৫ শতক জমি কিনেছেনতিনি। সেখানে তিনি প্রাইমারি স্কুল গড়ে তুলবেন।স্বপ্ন দেখছেন একটি বৃদ্ধশ্রম করার। বৃদ্ধাশ্রম করারজন্য ২ শতক জমি তিনি ক্রয় করেছেন। প্রভাষকমনোয়ার হোসেন জানান, কেউ যদি বলে স্যারআমার আর্থিক অবস্থা ভাল নয় তার কাছ থেকেতিনি বেতন নেন না। যাদের সামর্থ রয়েছে তারা যেবেতন দেন সে গুলো দিয়েই তিনি এই প্রতিষ্ঠান গুলোপরিচালনা করেন। এছাড়া করোনা ভাইরাসের মহামারী সময়ে মধ্যে ৭০০ পরিবারের মধ্যে ত্রান বিতরণ করেন যার মূল্য ১ লক্ষ্ টাকা।
Leave a Reply