রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চুনারুঘাটে ইউপি আ’লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির গ্রেফতার জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে আমি আবারো আপনাদের মুখে হাসি ফুটাতে চাই-বিএনপি নেতা সৈয়দ মোঃ ফয়সল পাল্টে গেলো চুনারুঘাট গোল চত্বরের নাম চুনারুঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযানের সময় এসিল্যান্ডের উপর হামলার ঘটনায় কথিত সমন্বয়ক ফরহাদ গ্রেফতার হবিগঞ্জে ৩৩ মেধাবীকে বৃত্তি দিয়েছে বৃন্দাবন সরকারী কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক ॥ এমদাদুল হক সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন চুনারুঘাটে রাতের আধাঁরে সড়কের ১৪টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা চুনারুঘাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নয়া কমিটি চুনারুঘাটে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৬ কেজি গাঁজাসহ ৩জন গ্রেপ্তার শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে পিকনিকের বাসে ট্রাকের ধাক্কা ॥ আহত ১৫

গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে:মাধবপুরের ধর্মঘরে মাদকের ভয়াল থাবা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
  • ২৯৫ বার পঠিত

শেখ জাহান রনি মাধবপুর প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের চলমান সংকটের সময়েও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর এলাকায় মাদক কারবার বন্ধ নেই। অতীতের চেয়ে রেকর্ড ভেঙে চলছে মাদকের জমজমাট ব্যবসা। মাদক কারবারিরা ধর্মঘর মনতলা রোডের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক নিয়োগ করে রেখেছেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান মাদক বিক্রেতাদের কাছে মোবাইল ফোনে পৌঁছে দেয়।ধর্মঘর এলাকার দায়িত্বে রয়েছে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ি। বর্তমানে এখানে পর্যাপ্ত জনবলও রয়েছে। একজন পরিদর্শক, দুজন এসআই, দুজন এএসআই, একজন এটিএসআই। অন্যদিকে ধর্মঘর এলাকার মালনঞ্চপরে রয়েছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। মাঝে মাঝে মাদকের চালান আটক করা হলেও মাদকের গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়।মাদকের মূল গডফাদারদের আটক না করার কারণেই মাদকের কারবার প্রতিদিন বেড়েই চলছে। এলাকার জনমনে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মাঝে মাঝে মাদকের চালান আটক হলেও আসামি পাওয়া যায়নি বলে মাদকদ্রব্যকে পরিত্যক্ত দেখানো হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মাধকের কোনো তথ্য দেয়া হলে তা পৌঁছে যায় মাদক কারবারিদের কাছে, এমন অভিযোগ এলাকার অনেকের।
মাধবপুর থানার ওসি তদন্ত গোলাম দস্তগীরর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদকের গডফাদারদের তালিকা সংগ্রহ করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করব। ধর্মঘর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আবু বক্কর বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি। মাদক বৃদ্ধি পেয়েছে শুনেছি, আমি ব্যবস্থা নেবো। মাদকের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।
কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোরশেদ আলম জানান, মাদক জোন ধর্মঘরের দায়িত্ব দিয়েছেন এসআই কামরুল ইসলামকে ওসি সাহেব। আমার দায়িত্ব নয়, আমি মাঝে মাঝে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধ দেখি। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও ধর্মঘর ইউনিয়নের মাদক মামলা তদন্ত করতেছে। ধর্মঘর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মামুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে আমরা জানি, আমাদের জন্য একটু সমস্য, কারণ আমরা জনপ্রতিনিধি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com