শেখ মোঃ হারুনুর রশিদ।। সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের কৃষকদের কাছ থেকেও বোরো ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।সারা উপজেলার বোরো ধান সংগ্রহের জন্য প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে পাওয়া,উপজেলা থেকে সর্বমোট ৬ হাজার ৬’শ ৫৯ জন কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। পুরো উপজেলা থেকে সরকার ১৫’শ ৬৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ১৫’শ ৬৭ টন ধান সংগ্রহ করবে।তার মানে প্রতি জন কৃষক সরকারের নিকট ১ হাজার ৪০ টাকা দামে ১ টন(২৫ মন) ধান বিক্রয় করতে পারবে। সেই অনুপাতে ইউনিয়ন ওয়ারী বরাদ্দ বিভাজনে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের হিসেব অনুযায়ী পৌরসভার ৭৩ জন কৃষক থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে ৭৩ টন।লটারীর মাধ্যমে নির্বাচনযোগ্য ৩০%(ত্রিশ ভাগ)অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে আরো ২২ জনের নাম। এর-ই ধারাবািকতায় ১ নং গাজীপুর ইউনিয়নে ১৫৬ জন,অপেক্ষমান তালিকায় ৪৭ জন।২ নং আহমদাবাদ ইউনিয়নে ১৪৮ জন,অপেক্ষমান ৪৫ জন।৩ নং দেওরগাছ ইউনিয়নে ১৩৯ জন,অপেক্ষমান ৪২ জন।৪ নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে ১৪৮ জন,অপেক্ষমান ৪৫ জন।৫ নং শানখলা ইউনিয়নে ১৫৬ জন,অপেক্ষমান ৪৭ জন।৬ নং চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নে ১৪৮ জন,অপেক্ষমান ৪৫ জন।৭ নং উবাহাটা ইউনিয়নে ১৫৬ জন,অপেক্ষমান ৪৭ জন।৮ নং সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে ১৩৯ জন,অপেক্ষমান ৪২ জন।৯ নং রাণীগাঁও ইউনিয়নে ১৫৬ জন,অপেক্ষমান ৪৭ জন।১০ নং মিরাশী ইউনিয়নে ১৪৮ জন,অপেক্ষমান ৪৫ জন।অর্থাৎ,লটারীর মাধ্যমে নির্বাচনযোগ্য কৃষক ১৫’শ ৬৭ জন এবং লটারীর মাধ্যমে নির্বাচনযোগ্য ৩০%(ত্রিশ ভাগ) অপেক্ষমান কৃষক ৪’শ ৭৪ জন।
মঙ্গলবার(১২ মে) দুপুর ১২ টায় উপজেলা হল রুমে লটারী ড্র অনুষ্ঠিত হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় দাশ,উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর,ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন,মিরাশী ইউপি চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোঃ আবুল হোসেন,উপজেলা কৃষি অফিসার জালাল উদ্দিন সরকার,এসএপিপিও নুরুল ইসলাম,প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ কামরুল ইসলাম,উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আঃ ছামাদ,উপ-পরিদর্শক সামছুল হক,খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল-মামুন সিদ্দিকী প্রমূখ।
প্রসঙ্গত,৩ নং দেওরগাছ ইউনিয়ন ও ৯ নং রাণীগাঁও ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক প্রান্তিক কৃষক তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে না পারায় তারা উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করলে তিনি বিষয়টি ওই ড্র অনুষ্ঠানে উত্তাপন করেন।যে কারণে সর্বসম্মতিক্রমে উল্লেখিত দুটি ইউনিয়নের লটারী ড্র স্থগিত রাখা হয়।এবং খুব তাড়াতাড়ি বাদ পড়ে যাওয়া কৃষকদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে উল্লেখিত ২ টি ইউনিয়নের লটারী ড্র-এর সিদ্ধান্ত হয়।
ড্র হওয়া লটারীর ফল প্রকাশের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার আবুল হোসেন জানান,৩ ও ৯ নং ইউপির লটারী ড্র হলে শীঘ্রীই একসাথে সকল তালিকা প্রকাশ করা হবে।
Leave a Reply