হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরপরই হবিগঞ্জের সদর হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক আশরাফ উদ্দিন।
এর আগে শনিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক একজন, নার্স দুইজন, চালক দুইজন, প্যাথোলজি বিভাগের দুইজন, ব্রাদার দুইজন এবং দুইজন আয়া ও ঝাড়ুদার, জেলা প্রশাসন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
এরপর রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে জেলায় আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে আসা এক ব্যক্তির নমুনায় করোনা পজেটিভ আসে। তিনিই হবিগঞ্জের প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। এরপর ২০ এপ্রিল এক চিকিৎসক ও এক নার্সসহ ১০ জন, ২১ এপ্রিল একজন নার্সসহ দুইজন, ২২ এপ্রিল পাঁচজন, ২৩ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিনজন, ২৪ এপ্রিল চিকিৎসকসহ পাঁচজন এবং ২৫ এপ্রিল সর্বশেষ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আরও ২২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত মোট নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে ১২২৩ টি। এরমধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৭৭৪ টির, পজিটিভ ৪৭ টি ও নেগেটিভ ৭২৭ টি। এরমধ্যে শনিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১২টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। এর আগে দুই নার্স ও এক চিকিৎসক আক্রান্ত হলে গত ২১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
Leave a Reply